মুখের কোণে যন্ত্রণাদায়ক ঘা? ঘরোয়া এই ৩ উপায়ে দ্রুত মিলবে আরাম

মুখের কোণে ঘা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা, যার কারণে খাওয়া, কথা বলা এবং এমনকি হাসতেও বেশ কষ্ট হয়। মানসিক চাপ, ছোটখাটো আঘাত অথবা কিছু বিশেষ খাবারের কারণে এই ঘা দেখা দিতে পারে। যদিও এই সমস্যা সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই নিজে থেকে সেরে যায়, তবে কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার নিরাময় প্রক্রিয়াকে দ্রুত করতে এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মুখের কোণে ঘা হলে তা দূর করার কয়েকটি সহজ ঘরোয়া উপায়:

১) নারিকেল দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন:

নারিকেল দুধ শুধু তরকারি বা স্মুদির জন্যই দারুণ নয়, এটি মুখের আলসারের জন্যও বিস্ময়কর কাজ করতে পারে! ‘ফাইটোথেরাপি রিসার্চ’ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, নারিকেলের দুধ আলসারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী সুরক্ষা প্রদান করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ব্যথা এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে, এবং এর প্রাকৃতিক শীতল প্রভাব কালশিটে জায়গাটিকে প্রশমিত করে আরাম দেয়।

ব্যবহারের নিয়ম:

জল মিশিয়ে গ্রেট করা নারিকেল ব্লেন্ড করুন এবং ছেঁকে নিয়ে নারিকেলের দুধ বের করুন। দিনে ২-৩ বার প্রায় ৩০ সেকেন্ডের জন্য আপনার মুখের চারপাশে এই দুধ ঘষুন।

২) মধু ও হলুদের মিশ্রণ:

মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে পরিচিত, অন্যদিকে হলুদে থাকে কারকিউমিন, যা তার প্রদাহ বিরোধী এবং নিরাময়কারী বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। এই দুটি উপাদান একসঙ্গে মেশালে তা মুখের আলসার বা ঘায়ের জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিকার তৈরি করে।

ব্যবহারের নিয়ম:

এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। আক্রান্ত স্থানে পেস্টটি আলতোভাবে ঘষুন এবং ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৩) অ্যালোভেরা জেল:

অ্যালোভেরা তার ত্বক-নিরাময়কারী বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি মুখের আলসারের জন্যও সমানভাবে কার্যকর? এর প্রশান্তিদায়ক এবং প্রদাহ বিরোধী গুণাবলী তাৎক্ষণিক আরাম দিতে পারে এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করতে পারে।

ব্যবহারের নিয়ম:

একটি তাজা অ্যালোভেরার পাতা কেটে জেল বের করে নিন। এবার একটি পরিষ্কার তুলো ব্যবহার করে সরাসরি আক্রান্ত স্থানে জেলটি প্রয়োগ করুন। দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য দিনে ২-৩ বার এটি ব্যবহার করুন।

এই ঘরোয়া উপায়গুলো মুখের কোণের যন্ত্রণাদায়ক ঘা থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে। তবে যদি ঘা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা খুব বেশি কষ্ট দেয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy