নতুন লুকে ঝলমলে চুল, তবে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের ব্যবহার কতটা যুক্তিযুক্ত?

নতুন চুলে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক লুকে নিজেকে হাজির করতে কার না ভালো লাগে? তাই চুল রং করা বর্তমান সময়ের নতুন এক ট্রেন্ড। শখের বশে অনেকেই চুলে নতুন রঙের ছোঁয়া লাগান। চুলে রং করাতে গেলে অনেক সময়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের প্রয়োজন পড়ে। রাসায়নিক দেওয়া রং চুলের কিছুটা অংশে মাখিয়ে তা ওই ফয়েলে মুড়িয়ে রাখা হয়, যাতে রং করা গুচ্ছের সঙ্গে সাধারণ চুল মিশে না যায়।

কিন্তু চুলের আর্দ্রতা বা ময়েশ্চার ধরে রাখতেও যে এই বস্তুটি ব্যবহার করা যায়, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। বাড়িতে নিজে নিজে স্পা করার সময়ে ক্রিম মাখার পর অনেকেই মাথায় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল জড়িয়ে রাখেন। কিন্তু তাতে কি সত্যিই বাড়তি কোনো সুবিধা পাওয়া যায়?

মুম্বইয়ের স্যার এইচএন রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালের চর্মরোগ চিকিৎসক সোনালি কোহলি বলছেন, ‘চুল রুক্ষ হওয়ার অন্যতম কারণ হল স্থির তড়িৎ। রুক্ষ চুলে চিরুনি চালালে বা বেশি ঘষাঘষি হলে স্থির তড়িৎ উৎপন্ন হয়। ফলে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। তড়িৎ পরিবাহী হিসাবে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দারুণ কাজ করে। চুলের ক্ষেত্রে স্থির তড়িতের তীব্রতা খানিকটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তাই চুলের রুক্ষভাব দূর করতে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করা যায়। রাসায়নিক ব্যবহার করার পরেও যাতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে, তাই এই ব্যবস্থা।’

তবে এই পদ্ধতির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?

স্ট্রেটনার দিয়ে চুল সোজা করার সময়ে অনেকে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করেন। তবে অতিরিক্ত তাপে কিন্তু চুলের কিউটিকল নষ্ট হতে পারে। মাথার ত্বক স্পর্শকাতর হলে বা কোনো ধাতু ব্যবহারে অ্যালার্জি থাকলে, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার না করাই ভালো।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের উপকারিতা থাকলেও, অতিরিক্ত ব্যবহার বা ভুল প্রয়োগ চুলের ক্ষতি করতে পারে। তাই চুলের ধরন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এই পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy