সারাক্ষণ কানে হেডফোন? ডেকে আনছেন ভয়ঙ্কর বিপদ!

আপনি কি সেই দলের যারা দিনরাত কানে গুঁজে রাখেন হেডফোন? অফিসে যাওয়া-আসার পথে, কাজের ফাঁকে, অবসর সময়ে—যখনই সুযোগ পান, হেডফোন যেন আপনার নিত্যসঙ্গী। এমনকি করোনাকালে বাড়ি থেকে ক্লাস বা অফিসের কাজের কারণে বেড়েছে এর ব্যবহার আরও কয়েকগুণ। কিন্তু অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের অভ্যাস শরীরে ডেকে আনতে পারে মারাত্মক সব সমস্যা। এখনই সাবধান হোন! নিজেই নিজের চরম ক্ষতি করছেন না তো?

আসুন, জেনে নেওয়া যাক দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহারের ফলে শরীরে কী কী সমস্যা হতে পারে:

১. কানের যন্ত্রণা: দীর্ঘক্ষণ ধরে হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করলে কানের ভেতরে অদ্ভুত এক অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে, যা পরবর্তীতে তীব্র ব্যথায় রূপ নেয়। বিশেষত ৯০ ডেসিবেল বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে লাগলে এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

২. মনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব: আপনি হয়তো জানেন না, হেডফোন ব্যবহারের সময় ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ উৎপন্ন হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এই তরঙ্গের সংস্পর্শে থাকলে তা মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই একটানা দীর্ঘ সময় ধরে ইয়ারফোন ব্যবহার করা উচিত নয়।

৩. শোনার অসুবিধা: কাজ করার সময় বা কথা বলার সময় যারা কানে ইয়ারফোন গুঁজে রাখার অভ্যস্ত, তাদের সাবধান হওয়া উচিত। কয়েক ঘণ্টা একটানা হেডফোন ব্যবহারের ফলে ধীরে ধীরে শোনার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

৪. শ্রবণ ক্ষতি: হেডফোন থেকে নির্গত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি। তাই সুস্থ থাকতে হেডফোন কেনার আগে এর বিকিরণ মাত্রা সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি।

৫. কানের সংক্রমণ: অনেকেই নিজেদের হেডফোন অন্যের সাথে ভাগ করে নেন। এই অভ্যাসের কারণে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু একজনের কান থেকে অন্যজনের কানে খুব সহজেই সংক্রমিত হতে পারে। ইয়ারফোন স্পঞ্জের মাধ্যমে জীবাণু স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে কানের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই চেষ্টা করুন নিজের হেডফোন ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে।

এছাড়াও, কানের সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত নিজের হেডফোন পরিষ্কার রাখুন। কখনোই খুব বেশি ভলিউমে গান শুনবেন না। মনে রাখবেন, ৯০ ডেসিবেল বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে লাগলে কানের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। তাই আজ থেকেই অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের অভ্যাস ত্যাগ করুন এবং নিজের শ্রবণশক্তির যত্ন নিন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy