ফার্টিলিটি বা প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত, তা অনেকেরই জানা। তবে এমন কিছু খাবারও রয়েছে, যা ফার্টিলিটি কমিয়ে দিতে পারে। তাই যারা মা-বাবা হতে চান, তাদের অবশ্যই সেই খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। আজকাল অনেকেই সন্তান নিতে চাইছেন, কিন্তু দীর্ঘ চেষ্টাতেও সফল হচ্ছেন না। এর পেছনে তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি অথবা খাদ্যাভ্যাসও পরোক্ষভাবে দায়ী থাকতে পারে। তাই এ বিষয়ে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আপনি সারাদিনে কী খাচ্ছেন, তা আপনার ফার্টিলিটিসহ স্বাস্থ্যের প্রতিটি দিকে প্রভাব ফেলে। তাই বুঝেশুনে খাবার গ্রহণ করুন। ফার্টিলিটি বাড়াতে চাইলে এর জন্য সহায়ক খাবারগুলো বেছে নিন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সেইসঙ্গে এড়িয়ে চলুন সেই খাবারগুলোও, যা আপনার প্রজনন ক্ষমতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৩টি খাবার সম্পর্কে, যা আপনার ফার্টিলিটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে:
১. ক্যাফেইন: উচ্চ ক্যাফেইনযুক্ত খাবার আপনার ফার্টিলিটি ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। যে কারণে দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করেও অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, এটি গর্ভপাতের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করতে পারে। তাই কফি এবং কোকো আপনার যতই পছন্দের হোক না কেন, তা পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস করুন। যারা প্রতিদিন কফি খেতে অভ্যস্ত, তারা দিনে এক কাপ অথবা খুব বেশি হলে দুই কাপ পান করতে পারেন। তবে এর বেশি নয়।
২. অ্যালকোহল: অ্যালকোহল পান করা কখনোই ভালো অভ্যাস নয়। এটি নানাভাবে আপনার শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করলে তা ফার্টিলিটি কমিয়ে দেয় এবং মহিলাদের পিরিয়ডের সময় নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি করে। যার ফলে আপনাকে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হতে পারে। তাই যারা সন্তান নিতে চাইছেন, তাদের জন্য অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস বাদ দেওয়া জরুরি। এছাড়াও একটি সুস্থ জীবনযাপনের জন্য এই পানীয় থেকে দূরে থাকা আবশ্যক।
৩. অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন: সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। এমনকি এটি ফার্টিলিটি বাড়াতেও প্রয়োজন। তবে এর সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে জানতে হবে। নয়তো না বুঝে খেলে তা আপনার প্রজনন ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি আপনার ফার্টিলিটি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত মাংস (Processed Meat) খাওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক থাকুন।
সন্তান ধারণের পরিকল্পনা করছেন, এমন দম্পতিদের উচিত এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন এনে অনেকেই সফল হয়েছেন। প্রয়োজনে ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।