অনিদ্রায় যারা ভোগেন তাদের ভরসা ঘুমের ওষুধ। কিন্তু ঘুমের ওষুধের দীর্ঘ মেয়াদী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
কিন্তু আপনি যদি খাবার খেয়েই ভালো ঘুম দিতে পারেন তবে তো কথাই নেই!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদিনের এক তৃতীয়াংশ সময় ঘুমের প্রয়োজন। নইলে শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
ঘুম কম হলে কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে ডায়াবেটিসের সমস্যা, সবই হতে পারে। এর থেকে হার্টের উপর চাপ পড়তে পারে।
কম ঘুমে বাড়তে পারে ওজনবৃদ্ধির সমস্যাও। তাই ডায়েট কন্ট্রোল করছেন, অথচ রাতের ঘুমটা ঠিক মতো ঘুমোচ্ছেন না, তাহলে কিন্তু বেশ মুশকিল।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৬-৮ ঘণ্টার কম ঘুম হলে চলবেই না। তবে ছোট্ট শিশুদের কম ঘুম হলে চিন্তা করবেন না। ১ বছরের থেকে একটু বড় শিশুরা ১০-১২ ঘণ্টা ঘুমোতেই পারে।
নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘুমনোর অভ্যেস করা ঘুমের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব জরুরি। ঠিক সময়ে শুয়ে পড়া, সেই অনুসারে ডিনার সারা ও নিয়মমাফিক আপনি যদি কোনও ওষুধ খেয়ে থাকেন, তা খেয়ে নেওয়াখুব জরুরি।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু খাবার খেলে ঘুম ভালো হয়। তার মধ্যে পালং-এর জুস খেতে পারেন। টার্ট চেরিও ভাল ঘুমে
ডার্ক চকলেট ভাল ঘুমের সহায়ক। ম্যাগনেশিয়াম যুক্ত খাবার শরীরকে রিল্যাক্স করে। ঘুম আসতে সাহায্য করে।
তৈলাক্ত মাছ ভালো ঘুমের অনুঘটক। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস, সেই সঙ্গে আবার মেলাটোনিনের উৎসও বটে। পেস্তা-আমন্ডও ঘুমের আগে খাওয়া আবশ্যক।
ডিম খেতে পারেন নিয়মিত। মেলাটোনিনের উৎস কিন্তু। এর সঙ্গে ঈষৎ উষ্ণ দুধ খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার।