রান্নাঘর রোজ পরিষ্কার করছেন তো? দেখুন কেন রান্না ঘর রোজ পরিষ্কার কড়া উচিত

অফিস থেকে ফিরে রান্না করে খেতে হয়েছে, তার পর আর বাসন মাজার প্রশ্নই নেই, সিঙ্কে ফেলে রেখে দিয়েছেন? পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছে, কোনওক্রমে কফি বানিয়ে কাপ-প্লেট সিঙ্কে ফেলে রেখে দিয়েছেন আগের রাতের বাসনের সঙ্গে? এর পর যদি সন্ধেবেলা ফিরে এসে কিচেনের সিঙ্কে আরশোলা ঘোরাঘুরি করতে দেখেন, তা হলে প্লিজ় আঁতকে উঠবেন না। কারণ রান্নাঘর রোংরা রেখে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আনছেন আপনিই! এমনিতেই গরমকালে পোকামাকড়, পতঙ্গের প্রজনন বাড়ে। উচ্ছিষ্ট খাবারদাবারে পচনও ধরে তাড়াতাড়ি। এই পরিস্থিতিতে খাবার লেগে থাকা এঁটো বাসনপত্র, নরম হয়ে আসা ফল ইত্যাদি কিচেনের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে, তা হলে যে পরিস্থিতিটা তৈরি হবে, তাকে আর যাই হোক না কেন স্বাস্থ্যকর বলা যাবে না! তার চেয়ে রোজের কাজ রোজই সেরে ফেলার ব্যবস্থা তৈরি রাখুন।

রান্নাঘরে কোনও কাজ ‘কাল করব’ বলে ফেলে রাখবেন না: বাসন মাজার এনার্জি নেই? বা রাতের বাসন পরদিন সকালে এসে মাজবেন আপনার সহায়ক? অন্তত বাসনগুলি ভালো করে ধুয়ে সিঙ্কে নামিয়ে রাখুন। খাবারের খোঁজে পোকামাকড় রাতের বেলা এসে ঢুকবেই, রেপেলেন্ট স্প্রে করা মানে তো সেই বিষ নিজের নাকেও ঢুকবে, তাই আগেই সাবধান হোন।

অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিচেনে রাখবেন না: একগাদা সস, জ্যাম, জেলি, চকোলেট, গুঁড়ো দুধ, কনডেন্সড মিল্ক ইত্যাদি ছড়িয়ে ফেলে রাখবেন না রান্নাঘরে, বাজার থেকে কেবল ততটুকুই কিনুন যতটা আপনি ব্যবহার করবেন। তাতে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখাও সম্ভব হবে।

রান্নাঘরের টেবিল টপ নোংরা হলে তক্ষুণি পরিষ্কার করে ফেলুন: কিচেনের টেবিলে হঠাৎ তরকারির ঝোল পড়ে গিয়েছে? মাছ ভাজতে গিয়ে তেলের ছিটে পড়েছে গ্যাস টপে? তখনই পরিষ্কার করে নিন, হাতের কাছে কিচেন টাওয়েল রাখবেন অবশ্যই। ভাত গালার পর মাড় ফেলে না দিয়ে তাতে কিচেন টাওয়েল ডুবিয়ে রেখে রোজ ধুয়ে নিন, দেখবেন ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কিচেন টাওয়েল রোজ পরিষ্কার করা বাধ্যতামূলক। একই কথা খাটে চপিং বোর্ড আর ছুরির ক্ষেত্রেও।

নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার করুন: ফ্রিজ ছাড়া কিন্তু গরমকালে একটা দিনও চলবে না। তাই বলে ফ্রিজে একগাদা জিনিসপত্র ঠেসে ভরে রাখবেন না। নিয়মিত পরিষ্কার করুন। যে সব ফল-সবজি নরম হয়ে এসেছে, সেগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবহার করে ফেলুন। যদি মনে হয় একেবারেই করা যাবে না, তা হলে গারবেজ ব্যাগে ভরে রাখুন। গারবেজ ব্যাগ প্রতিদিন বের করে দিতে হবে, যাঁরা সার তৈরি করতে চান তাঁরা অবশ্য পুরনো সবজির খোসা, চা পাতা ইত্যাদি সার তৈরির বিশেষ পাত্রে জমিয়ে রাখতে পারেন। তবে সেটা কিচেনের বাইরে রাখুন অবশ্যই।

প্রতিদিন কিচেন ফ্লোর, সিঙ্ক পরিষ্কার করুন: সহায়ক থাকুন বা না থাকুন, রোজ রান্নাঘরের মেছে মোছা আর রাতে শুতে যাওয়ার আগে সিঙ্ক আর রান্নাঘরের নর্দমা পরিষ্কার করাটা আপনার কাজ। সম্ভব হলে সেখানে এক টুকরো কর্পূর রেখে দিন, তা হলে এড়াতে পারবেন পোকামাকড়ের আক্রমণ। TS

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy