আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো কিডনির পাথর(Kidney stones) দূর করার উপায় সম্পর্কে। রান্নাঘরের একটি উপাদান হলো পোস্তদানা। সবাই মশলা হিসেবেই এর ব্যবহার করে থাকে। আলু পোস্ত হোক বা পোস্তর বড়া, রুই পোস্ত হোক বা গরম ভাতে পোস্ত বাটা, পোস্তর যেকোনো রেসিপি সবারই পছন্দের।
খুদে এই দানাগুলো শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা অনেকেরই অজানা। অনেক চিকিৎসকও পোস্ত খাওয়ার কথা বলেন। পোস্ততে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম(Calcium), ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ও প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ থাকে। তবে জেনে নিন পোস্ত আমাদের স্বাস্থ্যের কী কী উপকার করে –
কাশি কমাতে ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় পোস্ত বেশ উপকারী। এক চামচ মধু(Honey), এক চামচ পোস্ত নারকেলের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে খান, শুকনো কাশি কমে যাবে। কিডনি পাথর চিকিৎসার জন্যও পোস্ত খাওয়া হয়। এতে পাওয়া অক্সলেটস, দেহে উপস্থিত অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম(Calcium) শোষণ করে এবং কিডনিতে পাথর তৈরি হতে বাধা দেয়।
পেশীর ব্যথা উপশম করে পোস্ত সমস্ত ধরনের ব্যথা(Pain) উপশম করে। বিশেষত, এটি পেশীর ব্যথা কমাতে পরিচিত। পোস্তর তেলও বাজারে পাওয়া যায়, যা ব্যথায় ব্যবহৃত হয়। এতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকার কারণে, এটি হাড়ের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পোস্ত ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড(Fatty acids) রয়েছে। যা ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে এবং ত্বককে আর্দ্র রাখে। এছাড়াও এটি ত্বকের জ্বালা এবং চুলকানি কমায়।
যদি আপনার ঘুমের সমস্যা হয়, তবে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পোস্ত দেয়া চা খেলে উপকার পাবেন। এটি অনিদ্রা দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় পোস্ততে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য(Constipation) থেকে মুক্তি দেয়। এটি আমাদের হজম ক্ষমতা উন্নতিতেও সহায়তা করে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।