ক্রমশ বাড়ছে দূষণ। বিশেষ করে শীতকালে তো এটি ভয়ানকভাবে মাথাচাড়া দেয়। দিল্লি-সহ দেশের বড় শহরগুলির বাতাস মারাত্মক দূষিত হয়ে ওঠে এই সময়ে। এই বাতাসে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের। শ্বাসকষ্টের রোগীদের অবস্থা মারাত্মক হয়ে দাঁড়ায়।
সকালের বাতাস ভরে থাকে বিষাক্ত গ্যাসে। এই বাতাসে কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইডের মতো ক্ষতিকর গ্যাস থাকে যা ফুসফুসের ক্ষতি করে। দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার ফলে শুকনো কাশি, অ্যালার্জি, গলা জ্বালা, চুলকানি ও চোখে জ্বালা-পোড়ার মতো অনেক রোগ হয়। এই পরিস্থিতিতে দূষণজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে চাইলে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এবং প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। চারটি খাবার এই বিষয়ে সাহায্য করতে পারে। জেনে নিন কী কী খাবেন, এই সময়ে।
লেবু জাতীয় টক ফল: লেবু জাতীয় ফল শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। এই মরশুমে লেবু জাতীয় ফল খাওয়া বিষাক্ত গ্যাসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। লেবু জাতীয় ফল ছাড়ায় আমলকি খেতে পারেন। এটিও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
তুলসীর রস: তুলসী খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। শ্বাসকষ্টজনিত রোগের চিকিৎসায় তুলসী সেবন অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করেন অনেকে। শ্বাসনালী থেকে দূষিত কণা দূর করতে তুলসী সেবন কার্যকরও হতে পারে। তাই এই সময়ে তুলসীর রস খেতে পারেন।
হলুদ দুধ: ঔষধি গুণে ভরপুর হলুদ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন শরীরে ওষুধের মতো কাজ করে। এটি শরীরের প্রদাহ কমায়। হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণাগুণ হাঁপানির বিরুদ্ধে লড়াই করতে খুবই সহায়ক। দুধের সঙ্গে এই হলুদ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই সময়ে খেতে পারেন এই পানীয়টি।
আদা: এই সময়ে আদা খাওয়া খুবই উপকারের হতে পারে। এটি এমন একটি খাবার যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং হাঁপানি রোগীদের উপকার করে। আদা পিষে খতে পারেন।চায়ের সঙ্গেও আদা ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও কয়েকটি নিয়ম এই সময়ে মেনে চলা উচিত। প্রথমত বাইরে বেরোতে হলে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। আর সারা দিনে বার বার হালকা গরম জল খেতে পারেন। এগুলি দূষণের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করবে।