বাসি ভাত থেকেও হতে পারে আপনার ফুড পয়জনিং, সতর্ক থাকুন ও জেনেনিন

ভেতো বাঙালি বলে কথা। তবে প্রতিবেলায় ভাত রান্নার ঝামেলা এড়াতে একবেলাতেই সারাদিনের জন্য বেশি করে ভাত রেঁধে ফেলা হয়। অনেকে আবার দুই-তিনদিনের জন্য বেশি করে ভাত রান্না করে নেন একবারেই।

বাসি ভাত খাওয়ায় ক্ষতির কিছু নেই- এমনটা যদি ভেবে থাকেন তবে আপনার জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ। শুধু বাসি তরকারি কিংবা ফ্রেন্স ফ্রাই নয়, বাসি ভাতও স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ, সেটা থেকেও দেখা দিতে পারে ফুড পয়জনিং এর মতো গুরুত্বর শারীরিক সমস্যা।

এক্ষেত্রে অনেকেই মনে করতে পারেন, বাসি ভাত গরম করার সঙ্গে ফুড পয়জনিং এর সমস্যাটি সম্পর্কিত। আদতে বিষয়টি মোটেও তা নয়। বাসি ভাত সংরক্ষণের উপরেই নির্ভর করে সেই ভাত থেকে ফুড পয়জনিং হবে কিনা!

এমন হওয়ার পেছনে দায়ি ব্যাসিলাস সারিয়াস (Bacillus cereus) নামক ব্যাকটেরিয়া। চালে এই ব্যাকটেরিয়াটির উপস্থিতি পাওয়া যায়। ভাত রাঁধার পরেও এই ব্যাকটেরিয়াটি সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয় না, কিছু পরিমাণে ভাতের সঙ্গে থেকে যায়।

সমস্যাটি শুরু হয় ভাত রান্না করার পর। ভাত রান্না করে বাইরের তাপমাত্রায় দীর্ঘসময় রেখে দেওয়া হয়। এতে করে খুব দ্রুততম সময়ের মাঝেই ব্যাসিলাস সারিয়াস ব্যাকটেরিয়া দ্বিগুণ হয়ে সমস্ত ভাতে ছড়িয়ে পড়ে।

বুঝতেই পারছেন, ভাত রান্নার পরে যত দীর্ঘ সময় বাইরের তাপমাত্রায় ফেলে রাখবেন, ফুড পয়জনিং এর সমস্যাটি তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস পরামর্শ দেয়, ভাত রান্না করার এক ঘন্টা পরেই মুখবন্ধ বাটিতে করে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করার। এতে করে ফুড পয়জনিং দেখা দেওয়ার সম্ভবনা কমে যাবে অর্ধেকের বেশি।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy