শীতের সময় দাঁতে শিরশির অনুভূতি হলে কী করবেন? দেখুন

দাঁত শিরশিরানির সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। বিশেষ করে শীতে এ সমস্যা বেড়ে যায়। আসলে দাঁতে এনামেল নামক এক প্রকার উপাদান থাকে, যা দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

এই উপাদান ক্ষয়ে যাওয়ার কারণে দাঁতের ভেতরে থাকা স্নায়ুগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়। ফলে ঠান্ডা খাবার ও পানীয় পান করার সময় স্নায়ুগুলো সংস্পর্শে এলে শিরশির করে ওঠে দাঁত।

একে বিজ্ঞানের ভাষায় টুথ সেনসিটিভিটি বলে। চিকিৎসকের পরামর্শ মানলে দ্রুত এ সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। তবে নিজে সচেতন থাকতে হবে, যাতে পরবর্তীতে এ সমস্যা আর না হয়।

নির্দিষ্ট কিছু টুথপেস্ট বা মাউথওয়াশ ব্যবহার করলেও এ অসুবিধা এড়ানো যায়। পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায়েও দাঁতের বিরক্তিকর শিরশির ভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জেনে নিন করণীয়-

পেস্ট
দাঁতের এই সমস্যা নিরসনে এক ধরনের পেস্ট পাওয়া যায়, একে ডিসেনসিটাইজিং টুথপেস্ট বলে। এই ধরনের পেস্টে কিছু বিশেষ উপাদান থাকে যা উন্মুক্ত স্নায়ুমুখগুলো ঢাকতে সহায়তা করে।

পটাশিয়াম নাইট্রেট নামক একটি যৌগ এই কাজে অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি দাঁত মাজার ব্রাশটি নরম হলেও এই সমস্যায় কিছুটা আরাম মিলতে পারে।

লবণ জল

লবণ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। জমতে দেয় না ব্যাকরিয়াও। রোজ অন্তত দুবার লবণ জলে গার্গল বা কুলকুচি করলে দাঁত শিরশিরনি থেকে আরাম মিলবে।

হলুদ

এক টেবিল চামচ হলুদ, আধা চামচ সরিষার তেল ও আধা চামচ লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দাঁতে লাগালে কমতে পারে দাঁত শিরশির করার সমস্যা।

হলুদে থাকে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান জীবাণুনাশক ও প্রদাহনাশক হিসেবে বেশ কার্যকর।

ক্যাপসিকাম

ক্যাপসিকাম বা বেল পেপারে থাকে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান। যা প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। এটি ব্যবহারের সময় মুখ জ্বালা করলেও ধীরে ধীরে এটি দাঁতের সেনসিটিভিটির সমস্যা কমিয়ে আনতে পারে।

তবে এই সব ঘরোয়া টোটকাতেও যদি দাঁত শিরশিরানি না কমে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy