ডেটিংয়ের ক্ষেত্রে নবীন প্রজন্ম অর্থাৎ জেন জি নিত্যনতুন শব্দ ব্যবহার করে। সেখানেই ‘গ্রিন ফ্ল্যাগ’ শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। ধরুন আপনার পার্টনার আপনার জন্য একদম ঠিক, ভীষণ ভালো মানুষ, তার সঙ্গে আপনি জীবন কাটাতে চাইছেন। সেই ক্ষেত্রে মানুষটি গ্রিন ফ্ল্যাগ। এ বার বিষয় হলো মানুষটা গ্রিন ফ্ল্যাগ কি না তা বুঝবেন কোন উপায়ে? অনেক সময় প্রথম আলাপে, কিংবা ডেটে গিয়ে চেনা যায় মানুষটা একদম পারফেক্ট।
চাহিদা সম্পর্কে সচেতনতা
প্রথম ডেটে গিয়ে মানুষকে চেনা যায় না। আপনি নিজের সম্পর্কেও সব বিষয় শেয়ার করতে পারবেন না, আর সামনের মানুষটার কথাও বুঝতে পারেন না। তবে প্রথম দিন থেকে এটা পরিষ্কার থাকা দরকার যে কী চাইছেন। ক্যাজুয়াল ডেটিং নাকি ওপেন রিলেশনশিপ না বিয়ে— এ বিষয়ে অবগত থাকা দরকার। আপনার পার্টনার যদি এটা আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হয় বুঝবেন মানুষটা গ্রিন ফ্ল্যাগ।
অন্যকে দোষ না দেওয়া
আগের সম্পর্কগুলো কেন স্থায়ী হয়নি, কিংবা জীবনে কিছু ভুলের জন্য কে দায়ী— এ ধরনের বিষয়ে পার্টনার যদি বারবার অন্যকে দোষারোপ করতে থাকে, নিজের দোষ যদি স্বীকার করতে না চায়, বুঝবেন এমন মানুষের সঙ্গে থাকা যায় না। কেউ যদি নিজের ভুলটা মেনে নিয়ে জীবনে এগিয়ে চলে বুঝবেন মানুষটা আপনার জন্য গ্রিন ফ্ল্যাগ। পাশাপাশি যে মানুষটা আপনাকে সম্মান দেয়, কোথায় কখন কী কথা বলতে হয় জানে এমন মানুষই গ্রিন ফ্ল্যাগ।
সততা
জীবনে যা-ই ঘটে যাক না কেন, সৎ থাকাটা ভীষণ জরুরি। ঠিক ভুলের বিচার করা ছাড়াও আপনি যে কাজটা করছেন, যে মানুষের সঙ্গে কাজ করছেন তার প্রতি সৎ থাকা দরকার। মানুষটা যদি সৎ হয়, তা হলে বুঝবেন এমন মানুষের সংসার করা অনেক সহজ।
কথার মূল্য দেওয়া
মুখে এক কথা বলল আর করল আরেক কাজ— এমন মানুষের থেকে দূরে থাকুন। তার কথা ও কাজ যেন মিলে যায়, মানুষটা কথার দাম দিতে যেন জানে— এমন মানুষই হলো গ্রিন ফ্ল্যাগ। এ ধরনের মানুষ কমিটমেন্ট দেয় এবং সেটা পূরণ করে। এমন মানুষ আপনাকে কোনো দিন ঠকাবে না।
সম্পর্ক মজবুত করা
সম্পর্ককে মজবুত করে তুলতে যে মানুষ সারাক্ষণ চেষ্টা করে, এফোর্ট দেয়, আপনার কেয়ার করে, এমন মানুষই তো গ্রিন ফ্ল্যাগ। আপনার সঙ্গে সময় কাটায়, আপনাকে বোঝে, আপনি যাতে ভালো থাকেন, সুরক্ষিত থাকেন, তার চেষ্টা করে এমন মানুষের সঙ্গে কে না থাকতে চায়। এমন গ্রিন ফ্ল্যাগের সঙ্গে প্রেম হলে, তাকে ছাড়বেন না কখনও।