কল্পনা করুন, আপনার ঠান্ডা লেগেছে এবং প্রতিকারের জন্য আপনি কোনো গরম পানীয় খুঁজছেন। এক্ষেত্রে সবার আগে মনে আসবে চায়ের নাম। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় হলো চা। সকালে এককাপ চা না পেলে অনেকেরই দিন শুরু হয় না যেন। চা এল-থেনাইনের মতো অ্যামাইনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা শক্তির স্তরকে বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল করতে সহায়তা করে। এক কাপ গরম চায়ে চুমুক দিলে, বিশেষ করে শীতকালে, তা বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য কররে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনি এই পানীয়টির সর্বাধিক ব্যবহার করতে বিভিন্ন ধরণের মসলা যোগ করতে পারেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন মসলাগুলো ব্যবহার করবেন-
১. গোল মরিচ
চায়ের কাপে গোলমরিচ যোগ করলে তা শরীরের জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। এটি পিপারিন সমৃদ্ধ, যা পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করে এবং প্রদাহ কমায়। গোল মরিচের উষ্ণতার বৈশিষ্ট্যগুলি শ্বাসযন্ত্রকে প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে, যা বন্ধ নাক খুলে দেয় সহজেই। নিয়মিত চায়ে এক চিমটি গোল মরিচের গুঁড়া যোগ করুন। এতে স্বাদের পাশাপাশি অনেক উপকারিতাও পাবেন।
২. আদা
আদা চা ভীষণ উপকারী একটি পানীয়। শীতকালে আপনার চায়ে আদা যোগ করে পান করার অভ্যাস করুন। এই মসলা তার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, যা শেষ্মা দূর করতে এবং আপনার শ্বাসযন্ত্রের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনার শরীরকে জিঞ্জেরল নামক যৌগের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে, যার রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর শক্তি। এছাড়া আদা দিয়ে এক কাপ গরম চায়ে চুমুক দিলে তা আপনার হজমশক্তি ও বিপাককে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
৩. এলাচ
শুধু এর সুগন্ধি গন্ধের জন্যই নয়, এলাচ বহু শতাব্দী ধরে ঐতিহ্যবাহী ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই মসলাতে ভিটামিন সি, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আপনার চায়ে কয়েকটি এলাচের গুঁড়া যোগ করুন। এপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।