আকাশে মেঘ দেখলেই ছক কষা হয়ে যায়, সন্ধের আড্ডায় ঝালমুড়ির সঙ্গে একটু পেঁয়াজি কিংবা চপ হয়ে যাক! চায়ের সঙ্গে টা-এ হেঁশেলে দেদার স্ন্যাকস কিংবা ভাজাভুজি। কিন্তু সেসব গলধঃকরণের পর কড়াতে যে একগাদা তেল বেঁচে থাকে, এবার সেটা নিয়েই হিমশিম খেতে হয় গিন্নিদের। ওদিকে ডিপফ্রাই করা তেল আবার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, কিন্তু তা বলে তো এত দাম দিয়ে কেনা তেল নষ্ট করা যায় না! তাহলে এখন উপায়? কীভাবে কাজে লাগাবেন এই তেল? চলুন আপনাদের বাতলে দেওয়া যাক কিছু টিপস।
লুচি, চপ, কাটলেট ভাজার পর অবশিষ্ট তেল কী করবেন? অনেকেই তা নিয়ে সন্দিহান। কিন্তু ভাজা তেল যে বারবার রান্নায় ব্যবহার করাও ঠিক নয়, সেকথা সকলের জানা। কারণ, এই তেলের সিংহভাগই হল ট্রান্স ফ্যাট, যা কোলেস্টেরলের অন্যতম কারণ। তাছাড়া বেশি তাপমাত্রায় তেল গরম করলে, তার মধ্যে আর কোনও উপকারই থাকে না। তাহলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে ভাজাভুজির অবশিষ্ট তেল ব্যবহারের উপায় কী?
প্রথমেই বলে দিই যে, এই তেল একেবারে ঠান্ডা করে ছেঁকে নেবেন, যাতে স্ন্যাকসের কোনও গুঁড়ো বা কালো কোনও অংশ তাতে না থাকে। এবার পরিষ্কার, শুকনো কন্টেনারে ঢেলে স্টোর করুন। তবে মাথায় রাখুন ৪-৫ দিনের মধ্যে এই তেল ব্যবহার করে নিতে হবে। ফেলে রাখা চলবে না!
এবার বলি কীভাবে ব্যবহার করবেন? একবার ব্যবহার করা তেল কখনোই যেন আবার স্মোকিং টেম্পারেচারে গরম না করা হয়। ডাল, তড়কা কিংবা খিচুড়িতে ফোড়ন দিতে পারেন। মাছ-মাংস ম্যারিনেটও করতে পারেন। একবার মিষ্টিজাতীয় কিছু ভাজার জন্য তেল ব্যবহার করলে, পুনরায় সেটা নোনতা কিংবা অন্য কোনও রান্নায় ব্যবহার করবেন না। এতে রান্নার স্বাদ বদলাতে পারে।তবে হ্যাঁ মাথায় রাখবেন, যদি এই তেল কালো হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।