প্রাণের সুখে মন খুলে চিৎকার করুন। তাতে কোনও ক্ষতি নেই, বরং লাভই হবে বেশি। মন ভাল রাখার জন্যই নাকি এই চিকিৎসা, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। মেডিকেলের ভাষায় যাকে ‘স্ক্রিম থেরাপি’ বলা হয়।
কী এই স্কিম থেরাপি?
তেমন কঠিন কিছুই নয়, শুধু প্রাণের সুখে চিৎকার করুন। তাতেই মনের যাবতীয় রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ, না পাওয়ার যন্ত্রণা বেরিয়ে যাবে। এতে মন শান্ত হবে।
চিৎকার করার আরও উপকারিতা রয়েছে। এতে হার্ট ভাল থাকে।
ছোটবেলায় অনেক বাচ্চাকেই কাঁদানোর পরামর্শ দেন বাড়ির বড়রা। এতে তাদের হার্টের জোর বাড়ে, এমনটাই মনে করা হয়। এই তত্ত্বে খুব একটা ভুল কিছু নেই বলেই জানান বিশেষজ্ঞরা।
তবে সবসময় যে দুঃখ কিংবা যন্ত্রণাতেই চিৎকার করতে হবে তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্রে ভূতের সিনেমা দেখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই ভূতের সিনেমা দেখে কেঁপে ওঠেন বা চিৎকার করে ওঠেন। এতে তাদের মনের ভিতরে জমে থাকা আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
বর্তমান জীবনের ইঁদুর দৌঁড়ে প্রতি পদে পদে সেরা হওয়ার লড়াই করতে হয়। এই ব্যস্ততার চাপে মনের ভিতরের সমস্ত আবেগ চাপা পড়ে যায়। এই চাপা আবেগ একসময় মনের উপর বোঝার মত চেপে বসে। এই বোঝা হালকা করার অন্যতম মাধ্যম চিৎকার করা।
তাই যতো ইচ্ছা চিৎকার করুন, অবশ্য শব্দদূষণের কথা খেয়াল রাখতে হবে। কোনওভাবেই যেন আপনার আবেগের বহিঃপ্রকাশ অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়।bs