সাবানে থাকে এমন কিছু উপাদান, যা থেকে অনেক সময় অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হ্যালোজেনেটেস স্যালিসিলানিলাইডস নামক এক ধরনের কেমিক্যাল। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোয় বহু বছর আগেই এ ধরনের কেমিক্যালের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে যারা এসব কেমিক্যাল ব্যবহার করতেন, তাদের ত্বকে এখন এমন এক ধরনের অ্যালার্জি দেখা দিচ্ছে, চিকিৎসার পরিভাষায় যেটির নাম ফটোঅ্যালার্জি। এসব কেমিক্যাল ত্বক অতিমাত্রায় আলোক সংবেদনশীল করে তোলে। ফলে ত্বকে একটু রোদ লাগলেই অ্যালার্জি দেখা দিয়ে থাকে।
আমাদের দেশে সাবানের মোড়কে পণ্যটির কম্পোজিশেন লেখা থাকে না। ফলে চিকিৎসকদের পক্ষে এ রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া অনেক সময় অসম্ভব হয়ে পড়ে ওই পণ্যটির সঙ্গে ক্ষতিকর উপাদান মেশানো আছে কিনা। কম্পোজিশন লেখা থাকলে ডাক্তারদের পক্ষে খুব সহজেই রোগীর সঠিক সাবান চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। অনেক সময় সাবানে মেশানো বিভিন্ন ধরনের রঙ থেকেও অ্যালার্জি হয়ে থাকে। ফলে হাতের উল্টাপিঠে বা বগলে র্যাশ বের হয়।
বর্তমানে আমাদের দেশের পণ্যবাজারে ক্ষারধর্মী বা ওষুধধর্মী সাবানের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা যায়। এর ফলে ত্বকে অ্যালার্জি ছাড়াও হতে পারে ইরিটেশন। এ থেকে ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টিও হতে পারে। বিশেষ করে যে ত্বকে আগে থেকেই চর্মরোগ আছে।
অ্যাকজিমা হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই : প্রথম অবস্থা থেকেই সঠিক চিকিৎসা নিলে এ রোগ নির্মূল করা যায়। তাই রোগ পুষে রাখা মোটেও উচিত নয়। অ্যাকজিমা রোগীর ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, চিকিৎসায় রোগ একটু কমলেই রোগী ওষুধ সেবন বা ব্যবহার বন্ধ করে দেন। তাই চিকিৎসকের নির্দেশমতো নিরাময়ের পর আরও কিছুদিন ওষুধ ব্যবহার করলে অ্যাকজিমা আবার হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের অ্যাকজিমা সারতে কিছুটা বেশি সময় লাগে। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকলে এবং অ্যাকজিমার সঠিক চিকিৎসা করালে দুটো রোগই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। গর্ভবতী মায়ের অ্যাকজিমা হলে প্রথম তিন মাস খাবার ওষুুধ দেওয়া ঠিক নয়। কিন্তু স্থানিক প্রলেপ দিয়ে সুচিকিৎসা নিশ্চয়ই করা যায়। কোনো কোনো অ্যাকজিমা ঠা-া, গরম বা শুষ্ক আবহাওয়ায় বাড়ে। যেমন সেবরিক অ্যাকজিমা গরম ও ঘামে বাড়ে। তাই সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। একটু সচেতন হলেই এসব রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।bs