শিশুর জন্মের মাধ্যমে একজন মায়েরও জন্ম হয়। বাচ্চার জন্মের সময় মা’কে পুষ্টিতে ভরপুর খাবারগুলো খেতে হয়। কারণ সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে তার শরীর পুনরুদ্ধার হয়। জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ শ্রেষ্ঠ খাবার বলে বিবেচিত হয়। এটি শিশুকে পুষ্টি সরবরাহ করে। মায়ের দুধ কেবল শিশুর সামগ্রিক বিকাশের জন্যই নয়। বরং অনেক রোগ থেকে রক্ষাও করে। এ সময় প্রতিটি মায়ের তার খাদ্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কারণ মা যা খাবে তার প্রভাব শিশুর ওপর পড়বে। তাই এই সময় কিছু খাবার খাওয়া থেকে মায়েদের এড়িয়ে যেতে হবে। তা না হলে সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কাঁচা শাকসবজি
বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় বাঁধাকপি, ফুলকপি এবং ব্রোকলির মতো কাঁচা শাকসবজি এড়িয়ে চলুন। এগুলো হজম করা কঠিন হতে পারে। মা এবং শিশু উভয়ের মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। কাঁচা শাকসবজিতে ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া বা কীটনাশক থাকতে পারে। যা বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর দেহে স্থানান্তরিত হতে পারে। শাকসবজি রান্না করে খেলে এ সব সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন। পেঁয়াজ থেকেও সতর্ক থাকুন। এটি শিশুর মাঝে গ্যাসজনিত সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে অস্থিরতা দেখা দেয়।
ক্যাফেইন
নতুন মায়েদের ক্যাফেইন পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এটি দুধ পানের মাধ্যমে শিশুর শরীরে স্থানান্তরিত হতে পারে। এতে শিশুর ঘুমাতে অসুবিধা হয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে মা এবং শিশু দুইজনের মাঝেই ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে। বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কফি, চা এবং এনার্জি ড্রিংকের মতো পানীয়গুলো এড়ানো ভাল। সন্তানের সুস্থতা নিশ্চিত করতে জল বা ক্যাফেইন মুক্ত ভেষজ চা বেছে নিন।
পারদযুক্ত মাছ
বেশি রসালো মাছে উচ্চ মাত্রায় পারদ থাকে। এটি মানুষের জন্য ক্ষতিকারক একটি বিষাক্ত ধাতু। বিশেষ করে, গর্ভবতী মহিলা, সদ্য মা এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য। সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় টিনজাত টুনা, সোর্ডফিশ, মার্লিন, এবং এসকোলার জাতীয় মাছ খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। এ সব মাছ স্নায়ুতন্ত্র এবং মস্তিষ্কের বিকাশকে প্রভাবিত করে। তাই এ সময় সালমন, চিংড়ি এবং তেলাপিয়ার মতো মাছগুলো বেছে নিন।
ভেষজ
যে কোন ভেষজ খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই পরামর্শদাতার সাথে পরামর্শ করুন। ভেষজ প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হলে বুকের দুধের সরবরাহ কমে যেতে পারে বলে মনে করা হয়। তাই এই প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে আগে থেকেই সতর্ক থাকুন।