এই ব্লাড গ্রুপের মানুষের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, ভয় না পেয়ে চিকিৎসকদের মতামত জানুন

ক্যানসার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এর মধ্যে বেশিরভাগই স্তন, ফুসফুস, কোলন, মলদ্বার ও প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। ক্যানসার এমন একটি রোগ যেখানে শরীরের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় ও শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

বিভিন্ন কারণে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে অনিয়মিত জীবনযাপন, তামাক-অ্যালকোহল সেবন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ও বায়ু দূষণ ক্যানসারের অন্যতম ঝুঁকির কারণ।

এর পাশাপাশি বয়স, লিঙ্গ, জাতিগত, পারিবারিক ইতিহাস ও জেনেটিক্সের মতো অপরিবর্তনযোগ্য কারণেও ক্যানসার হতে পারে। এমনকি রক্তের ধরনের উপর নির্ভর করে আপনার ক্যানসারের ঝুঁকি আছে কি না। প্রাথমিক গবেষণায় একটি নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপ ও অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে একটি সংযোগ পাওয়া গেছে।

রক্তের বিভিন্ন গ্রুপ বা প্রকারভেদ আছে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস (এনএইচএস) বলছে, ৪টি প্রধান রক্তের গ্রুপের মধ্যে আছে- ও, এ, বি ও এবি। রক্তের গ্রুপ আসলে পিতামাতার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জিন দ্বারা নির্ধারিত হয়। প্রতিটি গ্রুপ আরএইচডি পজিটিভ বা আরএইচডি নেগেটিভ হতে পারে।

রক্তের ধরনের সঙ্গে ক্যানসারের কী সম্পর্ক আছে?

বেশ কিছু গবেষণায় কিছু নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপকে ক্যানসারের ঝুঁকির সাথে যুক্ত করা হয়েছে। প্লস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ‘এ’ রক্তের গ্রুপের তুলনায় ‘বি’ রক্তের গ্রুপের মানুষদের মধ্যে সব ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকিই পরিসংখ্যানগতভাবে বেশি।

আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ‘বি’ রক্তের গ্রুপের মানুষের মধ্যে পাকস্থলী ও মূত্রাশয় ক্যানসারের ঝুঁকিঅন্যদের চেয়ে ৭২ শতাংশ বেশি।

জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের জার্নালে প্রকাশিত ফলাফলের তথ্য অনুযায়ী, এ, বি ও এবি গ্রুপের মানুষের মধ্যে অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। অন্যদিকে ‘ও’ গ্রুপের মানুষের কম।

সমীক্ষা অনুসারে, ‘ও’ গ্রুপের তুলনায় ‘এ’ রক্তের গ্রুপের মানুষের অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের ঝুঁকি ৩২ শতাংশ বেশি। আর ‘এবি’ গ্রুপের ৫১ শতাংশ ও ‘বি’ গ্রুপের ৭২ শতাংশ বেশি ঝুঁকি আছে ক্যানসারের।

অগ্ন্যাশয় ক্যানসারে কী ও এর লক্ষণ কী কী?

অগ্ন্যাশয় ক্যানসার তখনই ঘটে, যখন অস্বাভাবিক কোষগুলো অগ্ন্যাশয়ের ভেতরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায়। যা হজমের তরল উৎপাদনে সাহায্যকারী অঙ্গ। এটি অগ্ন্যাশয়ের অঞ্চলকেও প্রভাবিত করতে পারে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

মায়ো ক্লিনিকের মতে, অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের বেশ কিছু লক্ষণ আছে যেমন-

>> পেটে ব্যথা যা আপনার পিঠে ছড়িয়ে পড়ে
>> ক্ষুধা ও ওজন কমে যাওয়া
>> ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হওয়া (জন্ডিস)
>> হালকা রঙের মল
>> গাঢ় রঙের প্রস্রাব
>> অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
>>রক্ত জমাট ও
>> ক্লান্তি।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy