চুলপড়া নারীদের একটি অতি পরিচিত সমস্যা। দিনে যদি ৮০টি চুল পড়ে তাহলে এটিকে স্বাভাবিক হিসেবেই নেবেন, তবে এর চেয়ে বেশি হলেই নিতে হবে বাড়তি যত্ন। নানা কারণেই আপনার শখের চুল ঝরে পড়তে পারে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া চুল পড়ার ৬টি কারণ ও প্রতিকারের কথা প্রকাশ করেছে।
১. খাদ্যাভাসে পরিবর্তন : অনেকেই ডায়েট কন্ট্রোল করার জন্য কম খেয়ে থাকেন। এতে করে তার প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টিই বিশেষ করে প্রোটিনের ঘাটতি হতে পারে। প্রোটিন চুলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান, এর ঘাটতি হলে চুল পড়ে যেতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডালের মতো খাবার রাখুন।
২. ভিটামিন স্বল্পতা : ভিটামিন বি-১২ ও ভিটামিন-ডি’র অভাবে চুল পড়ে যায়। এ দুই উপাদান চুলের বৃদ্ধি ঘটায় ও মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়। মাংস ও দুগ্ধজাত খাবারে মেলে ভিটামিন-১২ ও ভিটামিন-ডি। এ দুই উপাদানের ঘাটতি বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খেতে পারেন।
৩.জন্ম নিয়ন্ত্রণ : আপনি যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া শুরু করেন বা পিল পরিবর্তন করেন তবে তা চুলের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। এসব পিলে প্রোজেসটেরন হরমোন থাকে যা চুল পড়ে যাওয়ার কারণ। তাই জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার আগে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪.গর্ভধারণ : গর্ভধারণকালীন একজন নারীর নানা হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। এর প্রভাবে চুল পড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভধারণকালে চুলপড়া স্বাভাবিক বিষয়। গর্ভধারণের ৩-৪ মাস পর তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। যদি স্থায়ীভাবে চুল পড়ে যায়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
৫. চুলের স্টাইল : বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আপনার চুলের স্টাইলও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। আপনি যদি সবসময় উচু করে, শক্ত করে চুল বাঁধেন তাহলে চুল ভেঙে ও পড়া শুরু হতে পারে।
৬. হেয়ার ট্রিটমেন্ট: চুলে রঙ করা, রিবন্ডিং করা চুল পড়ার কারণ হতে পারে। রাসায়নিক সমৃদ্ধ প্রসাধনী দিয়ে তাই চুলের ট্রিটমেন্ট না করাই ভালো।bs