Vomits when riding in a car: গাড়িতে চড়লেই কি আপনার বমি পায়? তাহলে জেনেনিন কি করলে মিলবে স্বস্তি?

রাস্তার কাদা-জল ছাড়া বর্ষাকাল অনেকেরই প্রিয় ঋতু। গ্রীষ্মের অস্বস্তি কিছুটা হলেও কমে এ সময়ে। তাপমাত্রার পারদও নিম্নগামী থাকে। তবে এত কিছু ভালর পরেও এই বর্ষাকাল ডেকে আনে বিভিন্ন রোগ-বালাই। ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশির সমস্যা তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে পেটের গোলমালের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। সেখান থেকেই জন্ম নেয় বমির সমস্যা। বর্ষাকাল বলে নয়, বমি হওয়ার অন্যতম কারণ পেটের গন্ডগোল। এ ছাড়াও চলন্ত গাড়ি, বাসেও বমি করেন অনেকে। তা অবশ্য ‘মোশন সিকনেস’-এর কারণে হয়ে থাকে। যে কারণেই বমি হোক, তা তৎক্ষণাৎ থামানো জরুরি। বমি থামাতে অনেকেই বিভিন্ন ওষুধ খান। তাতে সাময়িক ভাবে বমির সমস্যা মিটলেও বমির বেগ পুনরায় ফিরে আসতে পারে। বমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেও সুফল পেতে পারেন। রইল তেমন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার খোঁজ।

কোলেস্টেরল মানেই খারাপ নয়! রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াবেন কী ভাবে

১) অনেকেই হয়তো জানেন না যে, কিছু ক্ষণ শ্বাস ধরে রাখলে বমি কমে যেতে পারে। ধরুন আপনি গাড়িতে বসে আছেন। এমন সময়ে বমি বমি ভাব লাগছে। মনে হচ্ছে এখনই বমি করে ফেলবেন। এই পরিস্থিতিতে চিন্তা না করে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন। চোখ বন্ধ করে রাখুন। কিছু ক্ষণ এই ভাবে থাকলে দেখবেন বমি বমি ভাবটা কেটে গিয়েছে।

২) শরীরে জলের অভাব ঘটলে বমি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই বলে বমি পেলে সে সময়ে ভুল করেও জল খেয়ে নেবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। জল যদি খেতেই হয় ঠান্ডা জল একেবারেই নয়। বরং ঈষদুষ্ণ জল অল্প অল্প খেতে পারে। স্বস্তি পাবেন।

৩) গাড়িতে উঠলেই বমি পাওয়ার ধাত থাকলে সঙ্গে রাখতে পারেন এলাচের বীজ। সে সময়ে কয়েকটি বীজ মুখে পুরলে বমির ভাব কেটে যেতে পারে।

৪) এক কাপ জলে আধ চামচ দারচিনি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। ছেঁকে নিয়ে খেতে পারেন। বমির সমস্যা কমতে পারে।

৫) গাড়িতে উঠলে বমি পাওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে ভ্রমণের আগে ভরপেট না খাওয়াই ভাল। হালকা খাবার খেয়ে গাড়ি-বাসে উঠুন। তবে একেবারে খালি পেটে নয়। তা ছাড়া সঙ্গে বমির ওষুধও রাখতে পারেন।

বমি করলে শরীরে কষ্ট হয়। দুর্বল লাগে। এ সময়ে নুন-চিনির জল খেতে পারেন। শক্তি পাবেন। দুর্বলতা কাটবে।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy