তেল ছাড়া রান্নার কথা অনেকেই ভাবতে পারেন না! কারণ তেল না দিলে রান্না কি স্বাদের হয়! যদিও বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত তেল ও ভাজাপোড়া খাবার খেতে নিষেধ করেন, তবুও একটু আধটু তেল ছাড়া কি রান্না করা যায়?
যদিও এমন কিছু তেল আছে যেগুলো অর্গ্যানিক, সেগুলো আবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যেমন- এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল কিংবা ঘানি ভাঙানো সরিষার তেলে থাকে ভালো ফ্যাট, যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
তবে এমন কিছু তেল আছে যেগুলো দীর্ঘদিন রান্নায় ব্যবহারের কারণে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসার। বিশেষ করে রান্নায় ব্যবহৃত উদ্ভিজ কয়েকটি তেল বিভিন্ন ক্যানসারের মূল কারণ হতে পারে, এমনটাই বলছে গবেষণা।
ক্যানসার একটি প্রাণঘাতী রোগ। যদিও ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী ক্যানসার জয় করতেও পারেন। তবে দেরি হলেই মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।
বেশ কিছু গবেষণা বলছে, প্রতিদিনের কিছু রান্নায় ব্যবহৃত সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার কিংবা পাম অয়েল জাতীয় উদ্ভিজ তেল ক্যানসারসহ হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও মেটাবলিক সিন্ড্রোমসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
এসব তেলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। রান্নার সময় যখন তেল গরম হয়; তখন তা ভেঙে অ্যালডিহাইডে পরিণত হয়। এ কারণেই তেল গরম করলে গন্ধ বের হয়। এ গরম তেলে রান্না করা খাবার খেলে স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
ডিমনফোর্ট ইউনিভার্সিটি পরিচালিত গবেষণায় গবেষকরা দেখেছেন যে, উদ্ভিজ তেলে ভাজা খাবারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রস্তাবিত দৈনিক পরিমাণের তুলনায় ২০০ গুণ বেশি অ্যালডিহাইড থাকে।
অন্যদিকে অলিভ অয়েল ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, অলিভ অয়েল, লার্ড ও মাখনে খুব কম অ্যালডিহাইড উপাদান আছে। ফলে এসব তেল ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।bs