বর্তমানে কালোর চেয়ে বাহারি রঙের চুলই ফ্যাশনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাদামি, বেগুনি, নীল, গোলাপি, লাল, কমলা ইত্যাদি রং দিয়ে অনেকেই এখন চুল রাঙাতে পছন্দ করেন।
হেয়ার কালার আপনার লুক অনেকটাই চেঞ্জ করে দিতে পারে। বর্তমানে চুলে কালার করার চাহিদা অনেক বেড়েছে। এ কারণে সেলুনগুলোতেও সব সময় ভিড় লেগেই থাকে। বিশেষ করে ঈদের আগে বিভিন্ন পার্লার ও সেলুনে ভিড় আরও বেড়ে যায়।
চাইলে আপনি বাড়িতেও খুব সহজে হেয়ার ডাই ব্যবহার করে কালার করতে পারেন। তবে চুল রাঙানোর আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। জেনে নিন কী কী-
>> প্রথমবার কালার করার আগে অবশ্যই কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। না জেনে কালার করালে অনেক সময়ই সেনসিটিভ স্ক্যাল্পের ক্ষতি হয়।
>> চুল রং করা একটু কঠিন কাজ মনে হলেও আদতে কিন্তু ততটা কঠিন নয়। এখন বাজারচলতি অনেক রং সরাসরিই ব্যবহার করা যায়, আলাদা করে মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হয় না।
>> চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কোন রং ভালো সেটা আপনিও যাচাই করতে পারেন। এজন্য হেয়ার কালার কেনার আগে দেখে নিন কী কী উপাদান দিয়ে রংটি তৈরি।
রাসায়নিক কোনো উপাদান থাকলে এড়িয়ে যান। ভেষজ উপাদানসমৃদ্ধ রং বেছে নিন। বরং পার্লারগুলোয় সাধারণত অ্যামোনিয়াযুক্ত রং ব্যবহার করা হয়।
>> চুলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত রং ঠিকভাবে না পৌঁছালে চিরুনি দিয়ে চুলের ডগা পর্যন্ত ভালো করে আঁচড়ে তারপর কালার করুন। এভাবে পুরো চুলটাই ঠিকভাবে রং করতে পারবেন।
>> যে কোনো রং দেখলেই তা নিজের চুলে ব্যবহার করবেন না। স্কিনটোনের সঙ্গে মানানসই হেয়ার কালার করুন। ওয়ার্ম স্কিন টোনের সঙ্গে হলুদ, কমলা, কপার বা ব্রিক কালার মানানসই। যাদের স্কিনটোন অপেক্ষাকৃত ডার্ক; তারা নীল, সবুজ ও গোলাপিজাতীয় কালার করাতে পারেন।
>> তবে চুলে কখনো দই শেডের বেশি কালার ব্যবহার না করাই ভালো। ধরুন গাঢ় ব্রাউন বা হালকা ব্রাউনের সঙ্গে কালো বেশ মানানসই।
>> পাকা চুলগুলো রং করতে চাইলে বেছে বেছে শুধু সেগুলোতেই কালার প্যাক ব্যবহার করুন। পুরো চুলে লাগাতে যাবেন না।
>> শুধু কালার করেই চুল ছেড়ে দেবেন না। কালার করালে অনেক বেশি করে চুলের পরিচর্যা করাও জরুরি। নিয়ম মেনে মাইল্ড শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।bs