হাল ফ্যাশনে পুরুষের মধ্যে বেড়েছে দাড়ির কদর! শুধু পুরুষের ক্ষেত্রেই নয়, বরং নারীর কাছেও দাড়িওয়ালা পুরুষের কদর বেশি। তবে এমনটি নতুন বিষয় নয়, বরং এটি ঘটে আসছে যুগ যুগ ধরে। দাড়ির কদর অতীতেও যেমন ছিল, ঠিক বর্তমানেও তেমনিই আছে।
পুরুষের মুখে দাড়ি হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। আর এই দাড়ি রাখার চল প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার উচ্চ পদস্থ পুরুষষের মধ্যেও ছিল। বর্তমানে অনেক রাষ্ট্রনায়ক থেকে শুরু করে তারকারাও দাড়ি রাখেন। এ কারণে বিয়ার্ড লুক এখন রীতিমতো চর্চার বিষয়।
১৯৭৩ সালের এক সমীক্ষায় উঠে আসে, দাড়ির কারণে পুরুষের চেহারায় বেশ পরিবর্তন আসে। ফলে ক্লিন শেভডের চেয়ে দাড়িওয়ালা লুকেই বেশি সুন্দর দেখায় তাদের। এতে পুরুষকে আরও পরিণত, প্রভাবশালী, আত্মবিশ্বাসী, সাহসী, উদার, ও পরিশ্রমী বলে মনে হয়।েএমনকি তার চরিত্রে পুরুষালী ভাবও ফুটে ওঠে।
১৯৯১ সালের আরও একটি গবেষণায় দেখা যায়, ক্লিন শেভড পুরুষের তুলনায় দাড়িওয়ালাদের আরও বেশি আকর্ষণীয় ও কম বয়সী বলে মনে হয়। ২০১২ সালের এক গবেষণায় উঠে আসে, নিউজিল্যান্ডের ইউরোপীয় নারীরা ও সামোয়ার পলিনেশিয়ান নারীরা দাড়িওয়ালা পুরুষদেরকেই পরিণত ও উচ্চতর সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন বলে মনে করেন।
সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোও এমনটিই বলছে যে, দাড়িওয়ালা পুরুষদেরকে বেশি প্রভাবশালী বলে মনে করা হয়। এমনকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমনটিও দেখা গেছে, নারীবাদীরা দাড়িওয়ালা পুরুষদেরকে কম সমর্থন করেন। কারণ ক্লিন শেভড পুরুষের তুলনায় তাদেরকে বেশি সহিংস ও পুরুষালী বলে মনে হয়।
এমনকি শিশুদের মধ্যে দাড়িওয়ালা পুরুষদেরকে নিয়ে ফ্যান্টাসি আছে। একবার এক গবেষণার কাজে শিশুদেরকে একজন বিজ্ঞানীর ছবি আঁকতে বলা হয়েছিল। শিশুদের বেশিরভাগই দাড়িওয়ালা ব্যক্তির ছবি এঁকেছিল।
আরেকটি সমীক্ষা অনুসারে, পুরু ও ঘন দাড়ি থাকা ব্যক্তিরা দীর্ঘ সম্পর্কে বিশ্বাসী হন। এমনকি তারা ভালো বাবা হতে পারেন বলে ধারণা করা হয়।
এবার তবে জেনে নেওয়া যাক কেন পুরুষের দাড়িতে বেশি আকৃষ্ট হন নারীরা?
২০১৬ সালের এক গবেষণায় প্রায় ৮০০০ নারীকে দেখানো হয় ৩৬ জন পুরুষের ছবি। দেখা যায়, সেই ছবি দেখার পর দাড়ি থাকা পুরুষদেরই বেশি পছন্দ করেছেন নারীরা। এক্ষেত্রে দাড়ি থাকলে পুরুষকে আরও বেশি পরিণত ও পুরুষালী বলে মনে হয়। এমনকি তারা যে বেশি আত্মবিশ্বাসী সে বিষয়ও প্রমাণ হয় বলে জানান নারীরা।
তবে নারীরা কিন্তু সবধরনের দাড়ি পছন্দ করেন না। মেডিকেল ডেইলির তথ্য অনুসারে, নিউ সাউথ ওয়েলসের বিজ্ঞানীরা ৩৫১ জন নারীকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। এই প্রশ্নের মাধ্যমে জানা যায়, দাড়ি কাটার ঠিক ১০ দিনের মাথায় হওয়া দাড়ির দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন নারীরা।
আবার দাড়ি পছন্দ করলেও নারীরা কিন্তু গোঁফ পছন্দ করেন না। এক গবেষণায় ২৫০০ জন নারী এ বিষয়ে ভোট দেন। তাদের মধ্যে মাত্রা ৬.৪ শতাংশ শুধু গোঁফ থাকা মানুষকে পছন্দ করেন বলে ফলাফলে উঠে আসে।bs