গরমে ডায়াপার পরানোর কারণে অনেক শিশুরই ফুসকুড়ি বো র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। ভেজা ও নোংরা ডায়াপারের কারণেই শিশুর ডায়াপার পরিহিত অংশে ফুসকুড়ির সৃষ্টি হয়।
পরবর্তী সময়ে ফোসকা, চুলকানি, ছোট ছোট ব্রণ ও পরে ত্বকে চামড়া ওঠার সমস্যা দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে এমনটি ঘটে। এর ফলে আক্রান্ত স্থানে চুলকানি ও জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হয়, যা শিশুর অস্বস্তির কারণ হয়।
তবে এমনটি দেখলে কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে শিশুর ডায়াপার ফুসকুড়ি সহেজেই সারাতে পারবেন। জেনে নিন করণীয়-
>> নারকেল তেলে আছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এটি শিশুদের ডায়াপার ফুসকুড়ির জন্য সবচেয়ে কার্যকর প্রতিকারগুলোর মধ্যে একটি।
এটি ব্যবহারের আগে শিশুর নীচের অংশটি হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে একটি নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এরপর আধা টেবিল চামচ নারকেল তেল নিয়ে শিশুর আক্রান্ত স্থানে লাগান।
>> মায়ের বুকের দুধও শিশুর ডায়পার ফুসকুড়ি সারাতে কাজ করে। এজন্য শিশুর ফুসকুড়ি-আক্রান্ত স্থানে কয়েক ফোঁটা বুকের দুধ লাগান ও আক্রান্ত স্থান খোলা রাখুন।
>> শিশুর ডায়াপার ফুসকুড়ি সারাতে টকদই ব্যবহার করুন। এজন্য ফুসকুড়ির স্থানে পুরু স্তর করে টকদই লাগান।
দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যেই ফুসকুড়ি সেরে যাবে। তবে ফ্রিজে রাখা টকদই ব্যবহার না করে ঘরের তাপমাত্রার দই ব্যবহার করুন।
>> ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান করে অ্যালোভেরা। শিশুর ডায়াপারে ফুসকুড়ির তীব্র প্রদাহ সারাতেও অ্যালোভেরা বেশ উপকারী। এজন্য তাজা অ্যালোভেরা জেল বা বোতলজাত সংস্করণ ব্যবহার করতে পারেন।
>> বেকিং সোডা ত্বকের পিএইচ মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারে শিশুর ত্বক থেকে অবাঞ্ছিত ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দূর করে।
এজন্য গরম জলে ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে মিশ্রণটি দিয়ে শিশুর ফুসকুড়ি ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন দ্রুত সেরে যাবে শিশুর ডায়াপার ফুসকুড়ি।
এসব ঘরোয়া প্রতিকারের পাশাপাশি শিশুর ডায়াপার পরানো ও খোলার সময়ের দিয়ে লক্ষ্য রাখুন। গরমে দীর্ঘক্ষণ শিশুকে ডায়াপার পরা অবস্থায় রাখবেন না। প্রতিবার ডায়াপার বদলানোর সময় অ্যালকোহলভিত্তিক ওয়াইপ ব্যবহার করে শিশুর নিচের অংশ পরিষ্কার করে নিন।
শিশুদের ডায়াপার ফুসকুড়ির প্রধান কারণ হলো নীচের অংশে বায়ু সঞ্চালনের অভাব। তাই শিশুকে দিনের কিছুটা সময় ডায়াপারমুক্ত রাখুন।bs