সম্পর্ক যতই মধুর হোক না কেন ভুলেও এই ৬টি কথা কখনোই শেয়ার করবেন না, জেনেনিন তার কারণ

সততা ও স্বচ্ছতা প্রতিটি সম্পর্কেই জরুরি। প্রতিটি সম্পর্কেই মতের লেনদেন হয়। বিশেষ করে যুগলেরা প্রায়ই নিজেদের ভাবনা, মত, সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে একে অন্যকে বলতে ভালোবাসেন। এমন অনেকেই আছেন, যারা সঙ্গীকে সবকিছু শেয়ার না করা পর্যন্ত শান্ত থাকতে পারেন না। কিন্তু কিছু বিষয় আছে, যা বয়ফ্রেন্ড বা প্রেমিককে শেয়ার করা ঠিক নয়। কিছু বিষয় ব্যক্তিগত রাখাই উত্তম।
ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে এমন ছয়টি বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা প্রেমিককে ভুলেও শেয়ার করা উচিত নয়। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই বিষয়গুলো-

প্রাক্তনের প্রতি আপনার অনুভূতি

নতুন সম্পর্কে জড়ালেও প্রাক্তনকে ভোলা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমন সময় আসে, যখন প্রাক্তনের সঙ্গে কাটানো মধুর স্মৃতি ভেসে ওঠে। আপনি হয়তো প্রেমিকের কাছ থেকে কিছুই লুকাতে চান না, অথবা সাবেক প্রেমিক বা সম্পর্ক নিয়ে কখনো কিছু লুকাননি। কিন্তু আপনার প্রেমিক সব সময় সাবেকদের সম্পর্কে শুনতে আগ্রহী না-ও হতে পারে। যদি আপনার সাবেক প্রেমিক বর্তমান সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব না ফেলে, তবে প্রাক্তনকে নিয়ে বর্তমান প্রেমিককে কিছু না বলাই উত্তম।

আপনার বর্তমান ক্রাশ

এমন হতে পারে, বর্তমানে আপনার কাউকে বেশ আদরণীয় মনে হচ্ছে। হতে পারে সে আপনার সহকর্মী বা অন্য কেউ। কিন্তু এর মানে এই নয় যে আপনি যখন-তখন তাদের নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে আলাপ করবেন। হ্যাঁ, কাউকে ভালো লাগার কথা আপনি জানাতেই পারেন। যদি বর্তমান ক্রাশ আপনার মনে প্রতি মুহূর্তে আলোড়ন না তোলে, তবে তা প্রেমিককে বলার প্রয়োজন নেই। আপনি এই অধ্যায় শেষ করে দিতে পারেন এবং প্রেমিক যাতে আপনার ওপর আস্থা না হারায়, সে দিকে নজর দিতে পারেন।

আপনার সৌন্দর্যচর্চা বা প্রাত্যহিক রুটিন

কীভাবে আপনি সৌন্দর্যচর্চা করছেন বা অলস সময় কাটাচ্ছেন, সেটি আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই সেটি সঙ্গীকে শেয়ার করার প্রয়োজন নেই। ধরা যাক, আপনি প্রথমে ফেস প্যাক বা ক্লিনজার ব্যবহার করেন, এটা বয়ফ্রেন্ডকে জানানোর প্রয়োজন নেই। হ্যাঁ, এমন যদি হয় প্রেমিক আপনার বিউটি রুটিন সম্পর্কে জানতে খুব আগ্রহী, তখন আপনি বলতে পারেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আপনি বারবার তাকে এ নিয়ে বলে যাবেন।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পাসওয়ার্ডস

প্রেমিক আপনাকে বলতে পারে তাকে বিশ্বাস করতে এবং পাসওয়ার্ড দিতে। কিন্তু অন্ধভাবে তাকে বিশ্বাস করার মতো কোনো প্রমাণ আপনার কাছে নেই। ফলে সঙ্গীকে পাসওয়ার্ড দেয়া বিনয়ের সঙ্গে এড়িয়ে যেতে পারেন। নিজের পাসওয়ার্ড ব্যক্তিগত রাখা আবশ্যক এবং এর মানে এই নয় যে আপনি প্রতারক।

প্রেমিকের বন্ধুদের নিয়ে আপনি যা ভাবেন

প্রেমিকের বন্ধুবান্ধব ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানানো খুবই ভালো। কিন্তু তাদের নিয়ে ভালো-মন্দ মত প্রকাশ করা ঝুঁকিপূর্ণ। আপনি তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে পারেন না, একইসঙ্গে সব সময় অভিযোগের চেষ্টাও করতে পারেন না। পরিবর্তে আপনি প্রেমিকের বন্ধুবান্ধবকে এড়িয়ে যেতে পারেন। আর এতে আপনি সব সময় বিভিন্ন ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে লোকের ভাবনা

আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করবে, এটাই স্বাভাবিক। কেউ আপনার প্রেমিককে সমালোচনা করতে পারে। তাই লোকের বলা নেতিবাচক চিন্তাগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কে কী বলল, তা নিয়ে অতিরিক্ত না ভেবে কীভাবে নিজেরা সুখী থাকবেন, সে ভাবনাটা জরুরি। যদি মনে করেন আপনার প্রেমিক সম্পর্কে লোকেদের কোনো মতে আপনি লাভবান হবেন, তবে তা প্রেমিককে শেয়ার করতে পারেন। আর তা না হলে এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy