শীতের সকাল মানেই ঘিরে ধরে আলসেমি। লেপ-কম্বলের উত্তাপ ছেড়ে উঠতেই ইচ্ছা করে না। ঘুম ভাঙলেও আরো একটু ঘুমোতে ইচ্ছা করে। অথচ শীত আসার আগে অনেকেই কাকভোরে উঠে শরীরচর্চা করতেন। জিমে যেতেন। মাঠে যেতেন দৌড়াতে। অথচ শীত পড়তেই সেই অভ্যাসে ইতি টেনেছেন অনেকেই।
শরীরচর্চা তো দূর, ঠান্ডা হাওয়ার শিরাশিরানিতে ঘুম থেকে উঠতেই দেরি হয়ে যায় অনেকের। এ দিকে শরীরচর্চা না করলেই নয়। শরীরের যত্ন নিতে ব্যায়াম করার জুড়ি মেলা ভার। ওজন কমানো থেকে শুরু করে মন ভালো রাখা- সবেতেই শরীরচর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ পুরো শীতকাল যদি শরীরচর্চা থেকে দূরে থাকেন তা হলে তো মুশকিল। তার প্রভাব পড়বে শরীরে। যদি শীতের সকালে বিছানার আলসেমি ছেড়ে একবার উঠে পড়তে পারেন, তা হলে ঠিক আছে। নয়তো কিছু ব্যায়াম রয়েছে, যেগুলো খাটে বসেও করে ফেলতে পারেন। রইল তেমন কয়েকটি ব্যায়ামের সন্ধান।
স্ট্রেচিং
দীর্ঘ ক্ষণ শুয়ে থাকার ফলে পেশি স্বাভাবিক নমনীয়তা হারায়। পেশিকে সচল রাখতে হাত, পা মাঝেই মাঝেই প্রসারিত করা নেয়া জরুরি। অফিসে বসে কাজ করার ফাঁকে বা ঘুম থেকে উঠে নিজেকে সচল রাখতে ‘স্ট্রেচিং’ খুবই উপকারী। শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে এই ব্যায়ামটি খাটে বসেই করতে পারেন।
রোল আপস
ঘুম থেকে উঠে অজান্তেই বিছানায় বসে অনেকে দু-হাত সামনের দিকে প্রসারিত করে পায়ের আঙুল ছোঁয়ার ভঙ্গিতে বসেন। এর পোশাকি নাম ‘রোল আপস’। কোমরের পেশি সচল রাখতে খুবই কার্যকর এই ব্যায়াম।
ক্রাঞ্চেস
পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে ও সবল থাকতে এই ব্যায়াটি করতে পারেন। বিছানায় শুয়ে হাঁটুকে ৯০ ডিগ্রি কোণে বাঁকিয়ে হাত দুইটি মাথার নিচে রাখুন। মাথা ও ঘাড় সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকুন।
হিপ ব্রিজ
বিছানায় শুয়ে পায়ের সাহায্য কোমর থেকে নিতম্ব পর্যন্ত তুলুন। হাত দুইটি শরীর স্পর্শ করে পাশে রাখুন। কোমরের মেদ কমাতে সাহায্য করে ‘হিপ ব্রিজ’।