রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গিয়েছে কি না বুঝুন এসব লক্ষণে

ডায়াবেটিক রোগীরা রোজা রাখলে হঠাৎ করেই তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। রক্তে চিনির মাত্রা খুব কমে গেলে অনেক সময় মানুষ অচেতন বা অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারেন।

যাকে বলা হয় হাইপো বা হাইপোগ্লাইসিমিয়া। আবার রক্তে চিনির মাত্রা খুব বেশি হয়ে গেলে হাইপারগ্লাইসিমিয়া হতে পারে। তখন অবসাদ, মাথাঘোরা, মাথাব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি ইত্যাদি সমস্যার তৈরি হতে পারে।

রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার কারণ কী?

>> অত্যধিক ইনসুলিন গ্রহণ
>> শারীরিক কার্যকলাপের পরিমাণ ও সময়
>> খাবারে কতটা ফ্যাট, প্রোটিন ও ফাইবার আছে
>> গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া
>> খাওয়া, ঘুমি ইত্যাদির সময়সূচী পরিবর্তন
>> ঋতুস্রাব ইত্যাদি

রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ কী কী?

>> অস্থিরতা
>> মাথা ঘোরা
>> ঘাম
>> ক্ষুধা
>> দ্রুত হার্টবিট
>> মনোনিবেশ করতে অক্ষমতা
>> বিভ্রান্তি
>> বিরক্তি
>> উদ্বেগ বা নার্ভাসনেস
>> মাথাব্যথা

রক্তে শর্করার মাত্রা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) ৭০ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার (এমজি/ডিএল) বা ৩.৯ মিলিমোলস প্রতি লিটার (এমএমওএল/এল) এর নিচে হলেই বুঝতে হবে তা কমতে শুরু করেছে। এ সময় সতর্ক থাকা জরুরি। দ্রুত রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে তখন গ্লুকোজ বা ফলের রস পান করতে হবে।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ডায়াবেটিক বিশেষজ্ঞ ডা. শাহজাদা সেলিম জানান, ডায়াবেটিস রোগীরা যদি দেখেন তাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ৩.৯ এর নীচে নেমে এসেছে, তাহলে আর রোজা রাখা ঠিক হবে না। কারণ হাইপো হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বা মৃত্যুও হতে পারে।

রোজা শুরুর অন্তত প্রথম তিনদিন পাঁচ বেলা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়মিতভাবে মাপতে হবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর, আবার সকাল ১১টায়, বিকাল ৪টায়, ইফতারের ঠিক আগে ও ইফতারের দুই ঘণ্টা পরে। এসব পরীক্ষার ফলাফল দেখে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ও খাদ্যের সমন্বয় করতে হবে।

ডা. শাহজাদা সেলিম জানান, ইসলামী বিশেষজ্ঞ ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা মিলে একত্রে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, রোজার সময় রক্ত পরীক্ষা ও দিনের বেলায় ইনসুলিন নিলেও রোজা ভাঙবে না।ts

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy