ঘর সবার জন্যই শান্তির স্থান। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে ঘরের চাইতে প্রশান্তির জায়গা আর দ্বিতীয়টি নেই। তাই ঘরটি হওয়া চাই নিজের মনের মতো। এক্ষেত্রে কেউ স্বভাবতই অগোছালো। কেউ আবার ভীষণ টিপটপ, ফিটফাট। কোনো জিনিস এদিক থেকে ওদিক হলেই মেজাজ গরম। গৃহসজ্জার দিকে তাদের বিশেষ নজর, নিজের হাতে ঘর সাজাতে তাদের ভালো লাগে।
আবার অনেকেই এক্ষেত্রে বেশ কিছু ভুলও করে ফেলেন। তার মূল কারণ পরিকল্পনা বা ভাবনা-চিন্তার অভাব। ঘর তো সাজাবেন, কিন্তু কিছু ভুল এড়িয়ে চললে আপনার সাধের অন্দরমহল হয়ে উঠতে পারে আরো সুন্দর, ঝকঝকে। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন ভুলগুলো এড়িয়ে চলা উচিত-
>> ঘরের সিলিংয়ে অনেকে শখ করে ঝা়ড়বাতি লাগান। তাতে ঘরের সৌন্দর্য বাড়ে ঠিকই, কিন্তু বেশি উঁচুতে ঝাড়বাতি ঝোলালে তা দেখতে ভালো লাগেনা। তাছাড়াও এর ফলে আলো সেভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারেনা, ঘর অন্ধকার দেখায়। ঝাড়বাতি লাগান, কিন্তু সিলিং থেকে সামান্য দূরত্বে লাগান।
>> পর্দা কখনো ছোট লাগাবেন না। পর্দা যদি ঝুলে সামান্য বেশি হয় তাতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু জানালা বা দরজার উচ্চতার তুলনায় ছোট হলেই তা দেখতে মন্দ লাগে। দৈর্ঘ্য ছাড়াও পর্দার ক্ষেত্রে রং খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেয়াল ও আসবাবপত্রের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পর্দার রং বাছুন।
>> অনেকে দেয়ালে ছবি ঝোলাতে পছন্দ করেন। ছবি ঝোলানোর সময়ে খেয়াল করবেন যেন তা দেয়ালের খুব উঁচুতে না থাকে। ঘাড় উঁচু করে ছবি দেখতে কারোরই ভালো লাগবে না।
>> রং বাছার ক্ষেত্রেও অনেকে বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়েন। দোকানে কোনো রং দেখে পছন্দ হলো, কিন্তু বাড়িতে ব্যবহারের সময়ে দেখলেন দু’টি রঙের মধ্যে বিস্তর ফারাক। বিশেষ করে ধূসর রঙের ক্ষেত্রে এমন বেশি হয়। আলোয় অনেক সময়ে ধূসর কোনো জিনিস নীলাভ দেখায়। তাই রং বাছার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
>> রং তো বাছলেন, কিন্তু তারপর দেখলেন আসবাবপত্রের সঙ্গে তা যাচ্ছে না। আসবাব চাইলে বদলানো যায়। কিন্তু রং একবার হয়ে গেলে তা আবার নতুন করে করার ঝামেলা অনেক। তাই আগে ঠিক করে নিন কোন ধরনের বা কী রঙের আসবাব চান। সেই মতো দেয়ালের রং বাছুন।