স্তনে লাম্পস বা শক্ত গিঁটের মতো থাকা পুরুষ এবং নারী উভয়ের ব্রেস্ট ক্যান্সারের একটি সাধারণ লক্ষণ। যখন ক্যান্সারযুক্ত কোষ সংখ্যা বৃদ্ধি করে, এটি স্তনে কোষের অসম বৃদ্ধি করে, যা স্পর্শ করলে সহজেই সনাক্ত করা যায়। বিরল কিছু ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না কিংবা অসমান কোষ বৃদ্ধি হয় না, ফলে সনাক্ত করতে এবং চিকিত্সা পেতে দেরি হয়ে যায়।
ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে লাম্পস ছাড়াও কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে যত তাড়াতাড়ি জানা যাবে, ব্রেস্ট ক্যান্সারের পরীক্ষা তত তাড়াতাড়ি করা যাবে। ফলে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়া শুরু করার আগেই তা রোধ করা যাবে। এটি ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরুর আগে সবচেয়ে জরুরি। লাম্পস ছাড়াও ব্রেস্ট ক্যান্সারের আছে গুরুত্বপূর্ণ ৫ লক্ষণ-
ত্বকে পরিবর্তন
ব্রেস্ট ক্যান্সার আপনার স্তনের ত্বকের ধরনেও পরিবর্তন আনতে পারে। ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট প্রদাহই এর জন্য দায়ী। এটি ত্বকের রঙের পরিবর্তনের কারণও হতে পারে। এর ফলে স্তনের চামড়া, স্তনবৃন্ত এবং অ্যারোলার চারপাশে খসখসে হতে শুরু করতে পারে এবং এটি কিছু অংশ মোটাও হতে পারে। এমনকি স্তনে একজিমা এবং ডার্মাটাইটিসও ধরনের বিরল লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
স্তনবৃন্ত থেকে রস গড়ানো
স্তনবৃন্ত থেকে কোনো ধরনের রস গড়ানো স্বাভাবিক নয়। সাধারণত ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে স্তনবৃন্ত থেকে হলুদ, সবুজ বা লাল রঙের তরল গড়াতে পারে। বুকের দুধ না খাওয়ানোর পরেও যদি আপনার স্তনবৃন্ত থেকে রসের মতো কিছু বের হয় তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তবে স্তনবৃন্ত থেকে রস গড়ানো মানেই ক্যান্সার নয়, আরও কিছু কারণে তা হতে পারে। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য একবার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া ভালো। স্তনবৃন্ত থেকে রস গড়ানোর অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে স্তন সংক্রমণ, জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ আরও কিছু বিষয়।
স্তনে বা স্তনবৃন্তে ব্যথা
ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কেউ কেউ স্তন এবং স্তনবৃন্তের ব্যথা অনুভব করতে পারে। এটি টেক্সচার পরিবর্তনের কারণে ঘটে যা প্রায়ই কোমলতা বৃদ্ধি করে এবং ব্যথা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এই লক্ষণগুলো উপেক্ষা করা যাবে না। অস্বস্তির কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
লালচে এবং ফোলাভাব
স্তন ক্যান্সারের কারণে ত্বকে ক্ষত এবং ফোলাভাব দেখা দিতে পারে যেমনটা আঘাত পেলে হয়ে থাকে। আপনার অবস্থার তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ত্বক লাল, বেগুনি বা নীল হতে পারে। যদি কোনো ধরনের আঘাত ছাড়াই এ ধরনের লালচে এবং ফোলাভাব দেখা দেয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। উভয় স্তনের আকার পরিবর্তন হচ্ছে কি না তা মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করুন।
স্তনবৃন্ত ভেতরে ঢুকে থাকা
স্তন ক্যান্সার স্তনবৃন্তের কোষে পরিবর্তন ঘটাতে পারে যা তাকে উল্টো দিকে নিয়ে যেতে পারে। কখনো কখনো ডিম্বস্ফোটনের সময় এবং মাসিক চক্রের সময়ও দেখা যায় স্তনবৃন্তে এ ধরনের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। তবে এ ধরনের কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করলে সতর্ক হওয়া জরুরি।bs