বেশি বয়সে সন্তান নেয়ার যত সুফল, জানলে অবাক হবে আপনি

বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর পরই অভিভাবকদের পক্ষ থেকে সন্তান নেয়ার জন্য দম্পতিদের উপর চাপ আসতে শুরু করে। বেশিরভাগেরই ধারণা, দেরিতে বাচ্চা নিলে শারীরিক অনেক সমস্যা দেখা দেয়, কারো কারো ক্ষেত্রে আবার বাচ্চা নাও হতে পারে। এই ভয়ে বিয়ের পর অনেকেই তাড়াতাড়ি সন্তান নিয়ে নেন।

আবার অনেকেই এমনও আছেন যারা দেরি করে মাতৃত্ব উপভোগ করেন। আসলে কম কিংবা বেশি যেকোনো বয়সে বাচ্চা নেয়ার বিষয়ে অনেকেরই অনেক রকম মতামত রয়েছে। কিন্তু বয়স যেমনই হোক, সব কিছুরই ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে। তেমনি বেশি বয়সে সন্তান নেয়ারও রয়েছে কিছু ভালো দিক।

ডেনমার্কের আর্হাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩৫-এর পর যারা মা হচ্ছেন, তারা অনেক ভালোভাবে লালন-পালন করতে পারছেন সন্তানদের।

প্রতিটি সন্তান যখন তাদের কৈশোর বয়স পার করে, তখন তাদের মাঝে নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। বেশি বয়সের মায়েরা কিশোর সন্তানদের প্রতি তুলনামূলকভাবে কম কড়া হয়ে থাকেন বলে ধরা পড়েছে এ সমীক্ষায়। ফলে এমন মায়েদের কাছে মন খুলে খোলামেলাভাবে কথা বলতে পারে সন্তানরা। আর সন্তানের সুস্থভাবে বড় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আবার ৩৫ বছর বয়সের পর প্রথম সন্তান নিলে তার যত্ন নেয়ার ক্ষমতা কমে যাবে এমনটিও বলেন অনেকেই। এদিক দিয়ে ভাবলে এ সমীক্ষাটিতে যা দেখাচ্ছে, সে কথা সব অর্থে ঠিক নয়।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy