প্রেগনেন্সিতে চুল পড়া সাধারণ ব্যাপার, জানুন এই বিষয়গুলি

প্রেগনেন্সি মানেই হবু মায়ের নিজের প্রতি একটু বাড়তি যত্ন নেয়া। এই সময় সুশৃঙ্খলভাবে জীবনযাপন করেন প্রত্যেক হবু মা-ই। প্রেগনেন্সির সময়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শরীরচর্চারও প্রয়োজন। পুষ্টিকর খাবার যেমন- প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিনযুক্ত খাবার প্রেগনেন্সির সময়ে নারীদের ত্বক এবং চুল সুন্দর থাকে।

তবে ডেলিভারির পরে ৯৯ শতাংশ মায়েরা চুল পড়া সমস্যায় ভোগেন এবং এই সমস্যাটি খুবই স্বাভাবিক। একজন মানুষের প্রতিদিন ১০০টি চুল পড়া নরমাল কিন্তু ডেলিভারির পর এই সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে যায়। ফলে মায়েরা ভীষণ ভয় পেয়ে যান। মূলত ডেলিভারির পর বেশ কয়েকটি কারণে চুল পড়া বৃদ্ধি পায়। কিছু প্রধান কারণ হলো-

আয়রনের ঘাটতি

পোস্ট প্রেগনেন্সি টাইমে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। যাকে মেডিকেলের পরিভাষায় অ্যানিমিয়া বলে। এই সমস্যা দেখা দিলে অতিরিক্ত চুল পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।

হরমোনাল ইমব্যালেন্স

পোস্ট প্রেগনেন্সি সময়ে হেয়ার ফলের জন্য হরমোনাল ইমব্যালেন্স সবচেয়ে বেশি দায়ী। পোস্ট প্রেগনেন্সির সময়ে ইস্ট্রোজেন হরমোন সর্বোচ্চ পরিমাণে থাকে। ফলে চুল কম পড়ে। কিন্তু প্রেগনেন্সি সময়ে তার ঠিক উল্টোটা ঘটে। এসময়ে ইস্ট্রোজেন হরমোনের লেভেল মারাত্মকভাবে নেমে যায়। ফলে চুল পড়ার হার তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়।

থাইরোয়েড সমস্যা

পোস্ট প্রেগনেন্সির সময়ে থাইরোয়েড ডিসঅর্ডার দেখা দিতে পারে যা তখন আইডেন্টিফাই করা না গেলেও পোস্ট প্রেগনেন্সিতে এর ইফেক্ট বুঝা যায়। যেমনঃ হাইপার থাইরোডিজম (অনেক বেশি থাইরোয়েড হরমোন বৃদ্ধি পাওয়া) কিংবা হাইপো থাইরোডিজম (থাইরোয়েড হরমোনের লেভেল কমে যাওয়া) দেখা দেয়।

এছাড়াও আরো কিছু কারণ আছে, সেগুলো হলো-

>> চুল বেশি পড়ার কারণে পার্লারে গিয়ে অনেকেই উল্টাপাল্টা হেয়ার ট্রিটমেন্ট করেন। ফলে, চুল পড়া আরো বৃদ্ধি পায়।

>> আবার স্নান করে চুল শুকানোর সময় পান না। সারাদিন ভেজা চুল বেঁধে রাখেন বা আঁচড়ানোরও সময় পাচ্ছেন না। তখনো কিন্তু চুল পড়া অনেক বেড়ে যায়।

>> সদ্যজাত শিশুকে নিয়ে মায়েরা এতো ব্যস্ত থাকেন যে নিজের যত্ন করার সময় পান না। ঠিকমতো খাবার খেতে পারেন না। রাত জাগতে হয়। এছাড়া শরীরও একটু ক্লান্ত থাকে এসময়। যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy