প্রতিদিন এক বাটি দই খেলে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা যায়, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় এবং এটি শরীর সুস্থ রাখার জন্য অন্যতম খাবার। দুধকে গাঁজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় দই। এটি আমাদের দেশে বেশিরভাগ পরিবারেই একটি প্রিয় খাবার। শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয় বরং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধার জন্যও এটি জনপ্রিয়। বেশিরভাগই অন্ত্রে পুষ্টির জন্য দই খান। জেনে নিন প্রতিদিন এক বাটি দই খাওয়া কেন জরুরি-
ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে
ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন প্রতিরোধে কাজ করে দই। তাই বিশেষজ্ঞরা নারীদের দই খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। উপকারী এই খাবারে থাকে ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া, যা ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। তাই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিয়মিত দই খান। প্রতিদিন এক বাটি দই খেলে ভালো ফল পাবেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
দই ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে পরিচিত। কারণ এটি স্টেরয়েড হরমোন বা কর্টিসলের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়, যা স্থূলতার ঝুঁকিকে আরও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা প্রতিদিন এক বাটি করে দই খাবেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
দই রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি চমৎকার প্রোবায়োটিক খাবার। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে চাইলে নিয়মিত দই খেতে হবে। প্রতিদিন এক বাটি করে টক দই খেলে আপনার সুস্বাস্থ্য ধরে রাখা সহজ হবে।
দাঁত ও হাড় মজবুত করে
দই ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ, যা দাঁত এবং হাড়ের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। শুধু তাই নয়, দই আর্থ্রাইটিসও প্রতিরোধ করতে পারে। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় দই অবশ্যই থাকতে হবে।
হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো
বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ হৃদরোগে মারা যায়। দই হৃদরোগের উন্নতিতে উপকার করতে পারে। এটি কোলেস্টেরল তৈরিতে বাধা দেয় এবং উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে।নিয়মিত দই খেলে তা উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, এভাবে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
সুস্থ ত্বক ও চুল পেতে সাহায্য করে
আপনি কি জানেন যে দই সৌন্দর্যের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে? ফর্সা এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে বেসন ও দই দিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন এবং ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে পারেন। দই প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এবং এটি আপনাকে আরও ফর্সা দেখাতে সাহায্য করে। চকচকে এবং স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য আপনি এটি চুলেও ব্যবহার করতে পারেন।