একেই দুর্বিসহ গরম তার ওপর পিরিয়ডস ব্যথা! ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে ঋতুস্রাবের ওপর। তাই শীতকালে যেমন পিরিয়ডসের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয় তেমন গ্রীষ্মকালে পিরিয়ডস হলেও ভোগান্তি শেষ নেই। তার ওপর আবার পেটের ব্যথা বা বদহজম কিংবা বাথরুমের যাওয়া কিংবা পেটে খিচুনির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তাই পিরিয়ডসের সময় নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় যদি বিশেষ কিছু খাদ্য সামগ্রী রাখা যায় তা হলে ভাল হয়। সেই খাদ্যসামগ্রীগুলো কী কী দেখে নিন-
- সবুজ শাকপাতা
সবুজ শাকপাতা যেমন পালং শাক, কালে এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া রক্তের অভাব মেটায়। তাই ঋতুস্রাবের সময় প্রচুর পরিমাণে এই সব সবুজ শাক পাতা খাওয়া উচিত যাতে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন পায়। এই সময় স্যালাড বা মাছ বা মুরগির মাংশর সঙ্গে সাইড ডিশ হিসেবে খেতে পারেন।
- মাছ
স্যামন, টুনার মতো মাছ যাতে প্রচুর পরিমাণে লিন প্রোটিন রয়েছে খেতে পারেব। এ ছাড়া বড় মাছ কিংবা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এরকম মাছ খেতে পারেন। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মাংশপেশিকে রিল্যাক্স করে এবং পিরিয়ডের খামচানো ব্যথার থেকে রেহাই দেয়। মাছের বদলে নিরামিষাশীরা আখরোট কিংবা অ্যাভোকাডো খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে।
- ক্যামোমাইল টি
মেনস্ট্রুয়াল ক্রাম্পের জন্য ক্যামোমাইল টি ভীষণ কার্যকরী। এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি ও অ্যান্টি স্প্যাসমোডিক কার্যকারিতা রয়েছে যা পিরিয়ডের যন্ত্রণায় আরাম দেয়। ক্যাফেন ফ্রি এই ক্যামোমাইল ট্রি শরীরে গেলে গ্লাইসিন নামক একটি উপাদান উত্পাদন করে যা মাসেল স্প্যাজম কম করে ও স্নায়ুর চাপ কম করে।
- অ্যাভোকাডো
পিরিয়ডের একাধিক সমস্যা যেমন ব্লোটিং, বার বার খিদে পাওয়া কিংবা মাংশপেশির খিচুনির মতো সমস্যা সমাধানে দারুণ ভাল কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পোটেসিয়াম রয়েছে যা শরীরে থেকে বাড়তি সোডিয়াম নিকাশ করতে সাহায্য করে। এর ফলে মাংশপেশির ব্যথা কম করে ও খাই খাই ভাব কম করে। অ্যাভোকাডো দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন কিংবা স্যালাড বা ওমলেটে অ্যাভোকাডো দিয়ে খেতে পারেন।bs