একটি মানুষকে সুন্দর হতে গেলে তার পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সুন্দর হতে হবে। দাঁত জ্যোতি ঝকঝকে মুক্তোর মতো পরিষ্কার না থাকে বা মুখ দিয়ে যদি গন্ধ বেরোয় তাহলে সেই মানুষের ব্যক্তিত্ব পরিপূর্ণ হয় না। তাই ব্যক্তিত্ব হতে গেলে চকচকে দাঁত হওয়া আবশ্যক।
অপরদিকে মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল দাঁত। আমরা যে খাবার খাই সেই খাবারের প্রথম শুরু হয় মুখের ভিতর দাঁতের মাধ্যমে । অনেক সময় সঠিকভাবে যদি দাঁত পরিষ্কার করা না হয় তাহলে দাঁতের ভেতরের নান খাবারের টুকরো আটকে থাকে। দুই একদিন পর থেকে সেই খাবারের টুকরোগুলি পচতে থাকে। পেটে নানা অসুখের সঞ্চার করে।
আবার ওই খাবারেই টুকরোগুলি দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের ভিতরে আটকে থাকার ফলে দাঁতে পাথরের সৃষ্টি হয়। এর ফলে খুব অল্প বয়সেই মানুষের দাঁত পড়ে যায়। অনেকের দাঁত খারাপ হয়ে যাবার ফলে শক্ত খাবার চিবিয়ে খেতে পারেন না, ফলে তাদের নরম খাবারের ওপর নির্ভর করেই জীবন যাপন করতে হয়।
দাঁতের রোগ হলে আমরা এটিকে অবহেলা করি। এটি হলো আমাদের কাছে দাঁতের রোগের প্রধান কারণ। দাঁতকে রোগের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে প্রতিবার খাবার পর দাঁতটাকে ভালো করে ব্রাশ করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে ব্রাশে দাঁত পরিষ্কার করা হয় সেই ব্রাশটি যেন তিন মাসের বেশি ব্যবহার না করা হয়। আর ব্রাশ করার সময় ব্রাশটিকে দাঁতের রাইটিং স্টাইলে রাখা উচিত। পেস্ট এবং ব্রাশ এর দ্বারা দাঁতের মাড়িকে মজবুত রাখা যায়। দাঁত পরিষ্কারের সময় অবশ্যই ফ্লুরাইডযুক্ত পেস্ট ব্যবহার করুন। ফ্লুরাইড দাঁতের দাগ এবং ক্যাভিটিসকে রোধ করতে সহায়তা করে।ts