দেশের সর্বত্রই অত্যন্ত পরিচিত একটি ফলেল নাম ডালিম। আমাদের দেশে ফলটি আরো দুটি নামে পরিচিত- বেদানা এবং আনার। তবে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা একটু পার্থক্য সৃষ্টি করেছেন। তাদের মতে উন্নত জাতের ডালিমের নাম বেদানা বা আনার। নানান গুণাগুণে সমৃদ্ধ এই ফল রোগীর সুস্থতা বা দুর্বলতা কাটাতে দারুণভাবে কাজ করে।
এ ফলে আয়রণের পরিমান বেশি থাকায় দানাগুলো রক্তের মত লাল হয়। শিশুকাল থেকেই প্রায় প্রত্যেকে শুনেছে ডালিম খেলে রক্ত বাড়ে। তাছাড়াও ডালিমে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুন ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন।
অনেক ফলের তুলনায় ডালিমে বেশি ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবার থাকে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও পরিমানে বেশি থাকে। পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে। ডালিমে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় মানসিক চাপ কাটাতে, রাতে ভাল ঘুম হতে ও শরীরের স্নায়ুতন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও উপকারি এই ফল। ডালিমে ফাইবার বেশি থাকাই দূর হতে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। ডালিমে রয়েছে ভিটামিন কে ও বি। আয়রণ বেশি থাকায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীদের ডায়েটে এ কারণেই ডালিম আবশ্যিক।
ডালিমে পলিফেনল থাকায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবেও কাজ করে এটি। এত অ্যাঞ্জিয়োটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম (এসিই) থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্যও উপকারী এই ফল।
অনেকেই ডালিমের দানা চিবিয়ে রস খায়ে ছোবা ফেলে দেয়, যা ঠিক নয়। কারণ ডালিমের ছোবাতে অনেক পরিমান ফাইবার থাকে। যা না খেয়ে ফেলে দেওয়ায় শরীরে ফাইবারের পুষ্টি ভালোমতো পায় না।
তবে কিছু ক্ষেত্রে ডালিম কম বা পরিমিত ভাবে খাওয়া উচিৎ। যেমন- ডালিমে টাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় কিডনির সমস্যা থাকলে এটি খেলে তা বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিক রোগিদেরও কম খাওয়া উচিৎ ডালিম।bs