ফাস্টফুড যদি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তবে নিশ্চয় চিপস খেতেও ভীষণ ভালোবাসেন আপনি।
নানান স্বাদের, আকারের চিপসের প্রতি আকর্ষণ কখনোই যেন কমে না। তবে খুবই দুঃখের বিষয় হলো- দেশি কিংবা বিদেশি যেকোন ব্র্যান্ডের যত দামী চিপসই কেনা হোক না কেন, চিপসের প্যাকেট কখনোই সম্পূর্ণ ভরা থাকে না। প্রতিটি চিপসের প্যাকেটই অর্ধেক খালি থাকে। প্রশ্ন জাগতেই পারে, কেন এমনভাবে চিপসের প্যাকেজিং করা হয়? এর পেছনেও রয়েছে খুবই যুক্তিসংগত কারণ।
যে কারণে চিপসের প্যাকেট অর্ধেক খালি থাকে
চিপস তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছাকৃতভাবেই প্যাকেজিং এর সময় প্যাকেটের অর্ধেক অংশ চিপস দ্বারা পূর্ণ করে বাকি অর্ধেক অংশ খালি রাখে। তার প্রধান কারণ হলো, প্যাকেট যদি চিপস দ্বারা সম্পূর্ণ ভরা থাকতো তবে প্যাকেটের সব চিপস ভেঙ্গে গুঁড়াগুঁড়া হয়ে যেত। চিপস তৈরির কারখানা থেকে চিপস নানান হাত ও অনেক পথ পাড়ি দিয়ে তবেই দোকানে পৌছায়। এতো দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাঝে দিয়ে যাওয়ার সময় প্যাকেটে থাকা একটা চিপসও আস্ত থাকতো না।
ক্রেতাদের খুশি রাখার জন্য যদি চিপস তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলো প্যাকেট ভরা চিপস বিক্রিও করতো, সেটা কেনার সময় দেখা যেত প্যাকেট ভরা চিপস নয়, আছে শুধুই চিপসের গুঁড়া।
চিপসের প্যাকেটে এতো বাতাস থাকে কেন?
অনেকেই আক্ষেপ করেন, চিপসের প্যাকেটে চিপসের চাইতে বাতাসই বেশি থাকে। এই বাতাসটি হলো নাইট্রোজেন গ্যাস। চিপস কুড়মুড়ে ও ফ্রেশ রাখার জন্যেই চিপসের প্যাকেট নাইট্রোজেন গ্যাস দ্বারা পূর্ণ করা হয়। নাইট্রোজেন গ্যাস ছাড়া চিপস একেবারেই নরম হয়ে যেত।
১৯৯৪ সালে কিছু বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন, নাইট্রোজেন গ্যাসের সংস্পর্শে প্যাকেটজাত চিপস একদম মচমচে ও ফ্রেশ থাকছে। শুধু তাই নয়। কিছু চিপসের ক্ষেত্রে স্বাদও বাড়িয়ে দিয়েছে নাইট্রোজেন গ্যাস। চিপসের প্যাকেটে নাইট্রোজেন গ্যাস মূলত এই কারণেই ব্যবহার করা হয়। এছাড়া চিপসের প্যাকেটে গ্যাস থাকার ফলে প্যাকেটজাত চিপসগুলো একদম সুরক্ষিতও থাকে।
এরপরেও চিপস কেনার সময় যদি মনের ভেতর খুঁতখুঁত করে তবে জেনে রাখুন, চিপসের প্যাকেটে চিপসের নেট ওজন লিখে দেওয়া থাকে। যা প্যাকেটের ভেতরে থাকা চিপসের ওজন প্রকাশ করে, পুরো প্যাকেটের নয়।