খাবার খাওয়ার সময় গিলতে সমস্যা হচ্ছে, মারাত্মক জটিল কোনো রোগ বাসা বাধেনি তো?

অনেকেরই খাবার খাওয়ার সময় গিলতে সমস্যা হয়। হঠাৎ করে দু’একবার এমনটি হওয়া স্বাভাবিক! তবে প্রায়ই যদি এই সমস্যায় ভোগেন তাহলে সতর্ক হতে হবে।

বিশেষ করে এই করোনাকালে এমন সমস্যা হতে পারে কোভিডেরও লক্ষণ। আবার মারণব্যাধি ক্যানসারের কারণেও খাবার গিলতে সমস্যা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ এই রোগ। তবে ক্যানসার নিয়ে এখনো অনেক মানুষের মধ্যে অজ্ঞতা আছে।

বিশেষত ক্যানসারের ধরন যদি বিরল প্রকৃতির হয়, তখন অনেক দিন পর্যন্ত কেউ কেউ বুঝতেই পারেন না উপসর্গগুলো। ফলে পেরিয়ে যায় চিকিৎসার সময়। ক্যানসার এতোটাই ভয়াবহ যে, তা ছড়াতে খুব বেশি সময় লাগে না।

খাবার গিলতে কষ্ট হওয়ার লক্ষণ খাদ্যনালির ক্যানসারেরও কারণ হতে পারে। আর এই লক্ষণও যেহেতু সাধারণ তাই অনেকের পক্ষেই বোঝা কঠিন যে এর কারণ ক্যানসার হতে পারে। মুখ, গলা ও খাদ্যনালিতে হওয়া ফুয়েল টিউমারই ক্যানসারকে ডেকে আনে। কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?

>> শক্ত খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া। পরবর্তীতে তরল খাবার খেতে এমনকি, ঢোক গিলতেও কষ্ট হতে পারে।
>> হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বুক জ্বালাভাব, বারবার ঢেকুর ওঠা ও পেটে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গও দেখা দিতে পারে।
>> হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া ও খাবারে অরুচি।
>> দীর্ঘদিন ধরে কাশি, রাতে শ্বাসকষ্ট, গলা ও বুকের মাঝখানে ব্যথা হতে পারে।
>> বমি বমি ভাব, ক্লান্তিবোধ, দুর্বলতা বোধ করা।
>> খাওয়ার সময় দম বন্ধ হয়ে আসা।
>> একটানা কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়ারিয়ার সমস্যাতেও ভুগতে হয়।
>> এমনকি গলার স্বরেও বদল আসতে পারে।

এসব উপসর্গ থাকলেই যে আপনার ক্যানসার হয়েছেন, তা নিজে নিজেই ভেবে নেবেন না। অন্য কোনো রোগেরও লক্ষণ হতে পারে এগুলো। তবে এসব উপসর্গ দেখলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে নিতে হবে আদৌ ক্যানসারের ঝুঁকি আছে কি না।

কীভাবে ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াবেন? ধূমপান, মদ্যপান ও তামাক গ্রহণের অভ্যাস খাদ্যনালির ক্যানসারের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও জরুরি।

একই সঙ্গে পুষ্টিকর খাদ্যাভাস ও শরীরচর্চাও জরুরি। ফুটন্ত চা, কফি পানের অভ্যাসও খাদ্যনালির ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy