আমিষ রান্নার একটি অপরিহার্য উপাদান হলো পেঁয়াজ। রান্নার স্বাদ, বর্ণ এবং গন্ধ বেড়ে যায় পেঁয়াজের গুণে। মাছ কিংবা মাংস রান্নার স্বাদ কেমন হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে পেঁয়াজের পরিমাণের উপর। তবে শুধু যে পরিমাণ তা কিন্তু নয়, কীভাবে পেঁয়াজ কাটছেন, সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন পদের ক্ষেত্রে রান্নায় ব্যবহার করা পেঁয়াজের আকারের পরিবর্তন হয়। চিলি চিকেন রান্নাতে যেভাবে পেঁয়াজ কেটে দেবেন, স্বাভাবিক ভাবেই মাছের ঝোলে দেওয়া পেঁয়াজের আকৃতি একই রকম হবে না। কোন ধরনের রান্নায় কীভাবে পেঁয়াজ কেটে দিলে স্বাদ দ্বিগুণ হবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে-
পেঁয়াজ কুঁচি
ঝালমুড়ি, পাপড়িচাটের মতো মুখরোচক খাবারে পেঁয়াজ কুঁচি ব্যবহার করা হয়। কারণ, এত ছোট করে কাটা পেঁয়াজ রান্নায় দিলে সমস্যা হয়। কষানোর সময়ে তা গলে যায়। তবে রায়তা, সুপ, চিকেন বলের মতো খাবার বানানোর সময়ে পেঁয়াজ কুঁচি ব্যবহার করতে পারেন।
মিহি করে কাটা পেঁয়াজ
মাছের ঝোল কিংবা মাংস অধিকাংশ রান্নাতেই এভাবে পেঁয়াজ কেটে দেওয়া হয়। আবার মাংস রান্নার ক্ষেত্রে অনেকেই একটু বড় বড় করে পেঁয়াজ কেটে দিতে ভালোবাসেন। তাতে মাংসের ঝোল একটু বেশি মাখো মাখো হয় বটে। তবে চৌকো করে কাটা পেঁয়াজ অনেক বেশি সুবিধাজনক। রান্নার সঙ্গে সহজেই মিশে যায় এ ধরনের পেঁয়াজ। এতে রান্নার স্বাদ আরো বেশি ভালো হয়।
গোল করে কাটা পেঁয়াজ
বার্গার, স্যান্ডউইচে দেওয়ার জন্য গোল করে কাটা পেঁয়াজ উপযুক্ত। একটি বার্গারে এ ভাবে কাটা পেঁয়াজ পাশাপাশি বসিয়ে দিলে প্রতিটি কামড়েই পেঁয়াজের স্বাদ পাওয়া যায়। মুখের মধ্যে পেঁয়াজ আর বার্গার মিলেমিশে যেন জাদু তৈরি হয়। এছাড়া স্যালাডে পেঁয়াজ রাখলে এ ভাবে কাটতে পারেন।
পুরু করে কাটা পেঁয়াজ কুঁচি
এই আকৃতিতে কাটা পেঁয়াজ সাধারণত রান্নায় খুব একটা ব্যবহার করা হয় না। আকারে ছোট কিন্তু বেশ মোটা করে কাটা পেঁয়াজ আপনি ব্যবহার করতে পারেন র্যাপ, স্যালাডের মতো কোনো পদে। তাতে প্রতি বার খাবার খাওয়ার সময় মুখে পড়বে পেঁয়াজ।