অফিস মানেই কাজের চাপ। মাঝে অল্প বিরতি নিয়ে কোনোরকম খাওয়া, এরপর আবার কাজে বসে যাওয়া। দিনশেষে যখন বাসায় ফেরেন তখন শরীর-মন অনেকটাই ক্লান্ত। এদিকে একটানা বসে কাজ করতে গিয়ে আপনার ওজন যে বেড়ে যাচ্ছে সেদিকে কি খেয়াল আছে?
কাজের ফাঁকে ফাঁকে উঠে হাঁটার অভ্যাস খুব কম মানুষেরই আছে। বেশিরভাগই একটানা বসে কাজ করে অভ্যস্ত। বসে থাকার কারণে জমা ক্যালোরি খরচ হয় না তেমন। ফলস্বরূপ বাড়তে থাকে ওজন। যাদের ওজন খুব বেশি নয় তাদেরও পেটের কাছে পোটলার মতো গোল একটি ভুঁড়ি হতে থাকে। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কাজ ফেলে হাঁটাহাঁটিও তো সম্ভব নয়। তাহলে? এই নিয়মগুলো মেনে চললে ওজন কিংবা ভুঁড়ি থাকবে নিয়ন্ত্রণে-
বিরতি নিন
একটানা বসে কাজ করার অভ্যাস বন্ধ করতে হবে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। এই বিরতি মানে কাজ ফেলে রেখে গল্প করতে বসে যাওয়া নয়। বরং কিছুটা সময়ের জন্য চেয়ার ছেড়ে উঠুন। একটু হেঁটে আসুন। চা-কফি পান করুন। সহকর্মীদের খোঁজ-খবর নিতে পারেন। অল্প সময়ের জন্য বিরতি নিন। এতে শরীরের সঙ্গে মনও অনেকটা নির্ভার হবে। কাজ করা সহজ হবে।
জল পান করুন
অফিসে থাকলে অনেকে জল পানে অলসতা করেন। একটি জলের বোতল আপনার ডেস্কে রাখুন। সেটি খালি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার ভরে আনুন। যতক্ষণ অফিসে আছেন, কিছুক্ষণ পরপর জল পান করুন। দীর্ঘ সময় একই স্থানে বসে থাকলে শুধু চর্বিই জমে না, হজমেও গোলমাল বাঁধে। তাই বেশি বেশি জল পান করুন। এতে হজমের সমস্যা দূর হবে, ক্যালোরিও খরচ হবে।
খাবারের দিকে খেয়াল রাখুন
অফিসে আছেন বলেই যখন যা সামনে পাচ্ছেন তা খেয়ে ফেলবেন না। খাবারের দিকে খেয়াল রাখুন। যেসব খাবার বেশি ক্যালোরিযুক্ত তা এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দেবেন। চকোলেট-আইসক্রিমকেও না বলুন। মাঝেমাঝে খেলেও খুব সামান্য খাবেন।
ব্যায়াম করুন
ভাবছেন, অফিসে বসে ব্যায়াম কীভাবে করবেন? সেটিও সম্ভব। আপনার চেয়ারে বসেই ব্যায়াম সেরে নিতে পারেন। এ ধরনের ব্যায়ামের ভিডিও পাবেন ইউটিউবে। সেখান থেকে শিখে নিয়ে ব্যায়ামগুলো করতে পারেন। এতে আপনার শরীর প্রতিদিন অন্তত একশো ক্যালোরি বেশি পোড়াতে পারবে।
বসার ধরন
আপনি যদি দীর্ঘ সময় পা ঝুলিয়ে বসে থাকেন তবে পায়ে ব্যথা হবে। তাই মাঝেমাঝে মেঝে থেকে পা উপরে তুলে বসুন। দুই পায়ের পাতাকে উপর দিকে করে নিজের শরীরের দিকে টেনে রাখুন দশ সেকেন্ডের মতো। এরপর ছেড়ে দিয়ে শরীরের বাইরের দিকে পায়ের পাতা ঠেলে দিন। এভাবে রাখুন দশ সেকেন্ড। এতে ক্যালোরি ঝরবে আবার পায়ের পাতায় ব্যথা হওয়ার ভয়ও কমবে।bs