কম-বেশি সবাই গান শোনেন। গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গীত বা গান মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে বেশি বয়সে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সঙ্গীত কার্যকরী প্রভাব রাখে। গবেষকরা বলছেন, গান শোনা এমনই একটি অভ্যাস যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক একসঙ্গে সজাগ হয়ে ওঠে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারে গান।
গবেষণা বলছে, মানসিক অবসাদ কমাতে বা কাটাতে গান শোনার জুড়ি নেই। শরীরের ক্লান্তি কাটাতেও গান শোনা দারুণ কাজ করে। ব্যায়াম বা শরীরচর্চার সময় গান বা ‘ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক’ শুনলে সহজে ক্লান্তি আসে না। ফলে দীর্ঘক্ষণ শরীরচর্চা চালিয়ে যাওয়া যায়।
এছাড়া, খামারে গান বা যন্ত্রসঙ্গীত চালিয়ে রাখলে গাছের বৃদ্ধি তুলনামূলক ভাবে দ্রুত হয়। গান মনসংযোগ বৃদ্ধিতে ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশে সাহায্য করে। অংক করার সময় গান শুনলে সাফল্যের হার বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া টেক ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, খাওয়ার সময় হালকা ধরনের মিউজিক শুনলে খাবারটা বেশি তৃপ্তি সহকারে খাওয়া হয। সেই সঙ্গে শরীরে ক্যালোরিও কম জমা হয়।
গাড়ি চালানোর সময় গান শুনলে মন শান্ত থাকে। এতে ড্রাইভিং করতেও ইতিবাচক মনোভাব কাজ করে।bs