এই ডিপ কাট ব্লাউজের যুগে পিঠ প্রদর্শন তো ডালভাত। কিন্তু প্রদর্শন করার আগে তো পিঠের যত্ন নিতে হবে। পিঠ আমাদের শরীরের অন্যতম অবহেলিত অংশ। মুখ বা হাতের যতটা যত্ন আমরা করি, পিঠের ততটা যত্ন আমরা কেউই নিই না। ফলে পিঠে মৃতকোষ, ব্ল্যাক হেডস আর ময়লা জমতে থাকে।
পিঠের যত্নের জন্য যে বিউটি ট্রিটমেন্টই করুন না কেন, শুরুতেই হালকা গরম জলে গোসল করবেন। ঈষদুষ্ণ জল বন্ধ হওয়া পোরসগুলোয় জমে থাকা ময়লা বের করে আনবে। চেষ্টা করুন পিঠে গরম ধোঁয়া লাগানোর (হট স্টিম)। এতে পিঠে জমে থাকা ময়লা আরও সহজে বেরিয়ে আসবে। পিঠেও কিন্তু ব্ল্যাকহেডস হতে পারে। স্টিম নিলে ব্ল্যাকহেডস থেকেও মুক্তি পাবেন। ফলে, পিঠের ত্বক হয়ে উঠবে আরও উজ্জ্বল ও গ্ল্যামারাস।
ভালো বডি স্ক্রাব অবশ্যই ব্যবহার করবেন। প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে ব্যাক পলিশ করাতে পারেন। বড় দাঁড়ার ব্রাশ পিঠে বুলিয়ে নিন। শুকনো অবস্থায় ব্যাক ব্রাশিং কিন্তু ত্বকের মরা কোষ ধরিয়ে ফেলতে উপযোগী। অ্যাকনের সমস্যার থাকলে মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
স্ক্রাবিংয়ের পরে ময়েশ্চারাইজ করুন। খুব ভালো হয় যদি অভিজ্ঞ কারো কাছে ব্যাক ম্যাসাজ করান। আমন্ড, অলিভ বা জোজোবা তেল দিয়ে ব্যাক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে পিঠের ত্বক নরম তো হবেই, মসৃণও হয়ে উঠবে। আর পিঠের রক্ত সঞ্চালন বাড়লে ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।
উজ্জ্বল পিঠের সৌন্দর্য তখনই বোঝা যাবে যখন পিঠের আকার হবে ঈর্ষণীয়! টোনড পিঠ পেতে তাই নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। প্ল্যাঙ্ক বা পুশ আপ করতে পারেন। যদি এতটা হেভি এক্সারসাইজে অভ্যস্ত না হন তাহলে যোগাসনও করতে পারেন। পিলাটিসেও পিঠের মেদ ঝরে।
পার্টিতে বা কোনো অনুষ্ঠানে ব্যাকলেস পরে যাবেন ভাবলে পিঠের যথাযথ মেক-আপও প্রয়োজন। যতটা সময় নিয়ে আমরা মুখের মেক-আপ করি, তার কিছুটা যদি পিঠের জন্য ব্যয় করা যায়, তাহলে পার্টিতে আপনার পিঠ থেকে চোখ ফেরাতে পারবেন না কেউই! পিঠে বডি ফাউন্ডেশন লাগান। এরপর হালকা কমপ্যাক্ট পাউডার লাগিয়ে নিন। আপনার কমপ্লেকশন অনুযায়ী প্রডাক্ট বেছে নেবেন। পিঠে যদি দাগছোপের সমস্যা থাকে তাহলে অল্প কনসিলার ব্যবহার করুন। আর শেষে লাগান ব্রনজার। ব্যস, সেক্সি পিঠ পেতে আর বিশেষ কসরৎ করতে হবে না।ts