সাবধান! আপনার চিকেন পক্স হলে দ্রুত কি করবেন আর কি করবেন না? জেনেনিন

শীতের শেষ ও গরমের একেবারে শুরুর দিকের সময়েই চিকেন পক্স বা জল বসন্ত ফুটে ওঠে অনেকের ত্বকেই। আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময়ে শরীরে বাসা বাঁধে বিভিন্ন অসুখ। যার মধ্যে জল বসন্ত বা চিকেন পক্স উল্লেখযোগ্য।

যদিও দেশে চিকেন পক্স নিয়ে অনেকের মধ্যেই ভ্রান্ত সব ধারণা আছে! সেসব বিষয় না মেনে বরং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। এর পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখেতে হবে। জেনে নিন কী কী-

চিকেন পক্স হলে কী করণীয়

>> এ সময় রোগীর শরীর ঠান্ডা রাখা উচিত। তাই স্নান করা জরুরি। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা জলে কখনো স্নান করবেন না।

>> নিম পাতা ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করলে বেশি উপকার মিলবে। নিমের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান পক্স নির্মূল করতে সাহায্য করে।

>> এ সময় বারবার জ্বর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রাপ্তবয়স্করা প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তবে ছোটদের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকরে পরামর্শ নিন।

>> ব্যথার হাত থেকে নিস্তার পেতে রোগীর শরীর ঠান্ডা জলে মুছিয়ে দিন, এতে ত্বকে খানিকটা হলেও আরাম মিলবে।

>> একই সঙ্গে প্রতিদিন দু’বেলা করে জামা-কাপড় বদলানো উচিত। তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

>> এ সময়ে সুতি ছাড়া অন্য কাপড়ের পোশাক পরবেন না, তাতে চুলকানি বা অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে।

>> পক্সে চুলকানি হলে কখনো নখ লাগাবেন না। ফলে ত্বকে স্থায়ীভাবে পক্সের দাগ থেকে যেতে পারে। আবার তা থেকে সংক্রমণও ছড়াতে পারে। তাই শিশুদের শরীরে পক্স হলে তাদের নখ ছোট করে কেটে দিন।

>> চুলকানি কমাতে অলিভ অয়েল বা ক্যালামাইন লোশন লাগান, আরাম পাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ খান এবং পক্সের ওপর অ্যান্টিবায়োটিক মলমও লাগাতে পারেন।

চিকেন পক্স হলে কোন খাবারগুলো খাবেন না?

>> চর্বিজাতীয় খাবার যেমন- মাখন, তেল, বাদাম, পনির, নারকেল বা চকলেট জাতীয় খাবারে অতিরিক্ত ফ্যাট থাকে, যা পক্সের প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে।

>> অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাবার খাবেন না। আর বসন্ত হলে মুখের ভেতরেও ক্ষত সৃষ্টি হয়, এতে ঝাল লাগলেই প্রদাহ বেড়ে যাবে।

>> আখরোট, চিনাবাদাম, কিসমিশের মতো খাবার অর্গিনিন নামে এক প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা চিকেন পক্সের জীবাণুর বংশবিস্তার করে। এমনিতে এই অ্যাসিড শরীরের পক্ষে ভালো হলেও বসন্তের সময় তা একেবারেই খাবেন না।

চিকেন পক্স হলে কী কী খাবার খাবেন?

>> এ সময় রোগীকে বেশি ক্যালোরি, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। তবে মুখে স্বাদ আনতে পাতলা স্যুপও খাওয়াতে পারেন রোগীকে।

>> ইলিশ-চিংড়িজাতীয় মাছ ছাড়া যে কোনো মাছের পাতলা ঝোল আর ভাতও খেতে পারবে রোগী। তবে তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

>> এ সময়ে ডাল খাওয়া খুবই উপকারী। বিশেষ করে ডালের জল যদি চুমুক দিয়ে খাওয়ানো যায়, তাহলে শরীর খুব ঠান্ডা থাকে।

>> এ সময়ে রোগীকে ফলের রসও খাওয়াতে পারেন, এটি শরীরে পুষ্টি যোগাবে। তবে লেবুর রস খাওয়া যাবে না। কারণ এতে থাকে উচ্চমাত্রায় সাইট্রিক অ্যাসিড, যা মুখের ভেতরে ক্ষতস্থানে জ্বালা-যন্ত্রণার কারণ হতে পারে।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy