শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের ব্যথা ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। শীতের প্রভাবে রক্তচাপের পরিমাণ ১২ থেকে ১৮ মিলিমিটার বাড়তে পারে। এমনকি রক্তনালি সংকুচিত হওয়ার ফলে রক্তচাপও বাড়ে।
করণীয়
শীতে হৃদরোগীদের জন্য শরীরচর্চা অবশ্যকর্তব্য। তবে তীব্র ঠান্ডায় হাঁটা যাবে না। বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় সূর্যের আলো ফুরিয়ে যাওয়া আগে হাঁটতে যাওয়া ভালো।
শরীরের তাপমাত্রা স্থিতিশীল রাখতে ঘরের ভেতরে বেশি সময় পার করা উচিত। অন্যান্য শীতের কাপড়ের পাশাপাশি হাত ও পায়ে মোজা পরতে হবে। গোসল করতে হবে হালকা গরম পানি দিয়ে।
একবারে ভারী আহার সব বয়সেই হৃদযন্ত্রে বাড়তি চাপ ফেলে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার কম পরিমাণে নিয়ে কয়েকবারে খেতে হবে। পানি ও লবণ গ্রহণের মাত্রায় নজর রাখতে হবে।
যে কোনো পরিস্থিতির জন্য পরিবারের বাকি সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে হবে। রোগীর বুকে অস্বস্তি, ঘাম, হাঁসফাঁস অনুভূতি, ঘাড়, কাঁধ কিংবা চোয়ালে ব্যথা, পায়ের তলায় ঘাম ইত্যাদি সমস্যাকে অবহেলা করা যাবে না।
শীতের প্রকোপে হার্টের অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন শুরু হতে পারে। যার ফলে তাৎক্ষণিক মৃত্যুও অস্বাভাবিক নয়। পেট ভরে খাওয়ার পর ঠান্ডা আবহাওয়ায় হাঁটাহাঁটি করলেও অ্যানজিনার ব্যথা শুরু হয়ে যায়। সুস্থ-সবল মানুষরা সহজে ঠান্ডাজনিত এসব পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন। কিন্তু যারা শারীরিকভাবে দুর্বল, তারাই বেশি আক্রান্ত হন।