সুস্থ থাকতে ঘুম প্রত্যেকটি মানুষের জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু অনেকেরই এই ঘুম নিয়ে পড়তে হয় সমস্যায়। দেখা যায় সারাদিন পরিশ্রম করার পরও রাতে বিছানায় গেলে সহজে ঘুম আসে না। ফলে বাড়ে বিরক্তি-অস্বস্তি। এই সমস্যার সমাধানে অনেকেই ঘুমের ওষুধ খান। নিশ্চয়ই জানেন, ঘুমের ওষুধের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তাহলে এই সমস্যা থেকে রক্ষার উপায়? কিছু সাধারণ খাবারও হতে পারে ঘুমের ওষুধের বিকল্প। এগুলোর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অনিদ্রা সমস্যা সমাধানে নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে খেতে পারেন এসব খাবার। চলুন জেনে নেয়া যাক তেমনই কিছু খাবার সম্পর্কে-
বাদাম
রাতের ঘুমের জন্য উপকারী খাবার হলো বাদাম। যাদের রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয়, তারা প্রতিদিন রাতে ১০-১২টি বাদাম খেতে পারেন।
ওটমিল
যারা ওজন সমস্যায় থাকেন, তারা অনেকেই ওটমিল খেয়ে থাকেন। ওটমিলে রয়েছে ঘুমে সহায়ক মেলাটোনিন। তাই রাতে ওটমিল খেলে একদিকে যেমন ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, অন্যদিকে ঘুমও ভালো হবে।
হালকা গরম দুধ
হালকা গরম দুধ ঘুমের ওষুধের বিকল্প হতে পারে। যারা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না বা বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করে রাত কাটাচ্ছেন, তারা রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম দুধ খেয়ে শুতে পারেন। দুধে আছে ট্রাইপটোফান ও অ্যামিনো এসিড, যা শরীরে ঘুমের আবেশ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া দুধে থাকা ক্যালসিয়াম মস্তিষ্কে ট্রাইপটোফান ব্যবহারে সহায়তা করে। এক গ্লাস দুধ খেলে মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায় এবং শরীর কিছুটা হলেও শিথিল হয়ে আসে। ফলে ঘুম সহজে চলে আসে।
পাকা কলা
কলা খেলে রাতে ভালো ঘুম হয়। কলায় আছে ম্যাগনেসিয়াম, যা মাংসপেশীকে শিথিল করে। এছাড়া কলা খেলে মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন হরমোন নির্গত হয়ে শরীরে ঘুমের আবেশ নিয়ে আসে। তাই যাদের ঘুম হয় না, তারা রাতে কলা খেতে পারেন।
আলু
সিদ্ধ আলু বা রান্না করা আলু রাতের ঘুমের সহায়ক খাবার হতে পারে। আলু খেলে ট্রাইপটোফানের সাহায্যে হাই তোলায় ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী এসিড নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্ক বেশ দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সহায়তা করতে পারে।
মধু
মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার আছে, যা মস্তিষ্ককে সচল রেখে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কে গ্লুকোজ প্রবেশ করে এবং ওরেক্সিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কিছুক্ষণের জন্য, যা দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সহায়তা করে।
