জল বিশুদ্ধ করনে ফিটকিরি ব্যবহার হয়। তাই বাড়িতে খাওয়ার জল শুদ্ধ করার যন্ত্র কোনো কারণে খারাপ হয়ে গেলেই ফিটকিরির কদর বাড়ে। জলে ফিটকিরি ফেলে দিলে অনেক ক্ষতিকর জীবাণু দূর হয়। কিন্তু এই ফিটকিরি যে রোজকার জীবনে আরো নানা কাজে লাগতে পারে, তা জানা আছে কি?
১. মুখের ভেতরে কোনো ঘা হলে তাতে ফিটকিরি লাগাতে পারেন। আগে থেকেই বলে রাখা ভালো একটু জ্বালা করবে। কিন্তু ঘা শুকিয়ে যাবে নিমেষে। লালারস গিলে ফেলবেন না যেন। যদিও এই টোটকা ছোটদের ওপর প্রয়োগ না করাই ভালো।
২. যাদের মুখে ব্যাকটিরিয়া বেশি, তাদের মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা হয়। ফিটকিরি ব্যাকটিরিয়া দূর করতে সক্ষম। তাই জলে সামান্য লবণ মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। তাতে ফিটকিরি গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এই জল ঠান্ডা হলে একটি বোতলে ভরে রাখুন। নিয়মিত এই জল দিয়ে কুলি করলে দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।
৩. বাচ্চাদের মাথায় উকুন হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। উকুন মরে গেলেও ডিমগুলো থেকে যায় বহু দিন। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে ফিটকিরি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। জলে ফিটকিরি গুঁড়ো এবং টি-ট্রি ওয়েল মিশিয়ে নিন। এই জল ১০ মিনিট মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
৪. দাঁড়ি কাটতে গিয়ে হঠাৎ গাল কেটে গেল? ফিটকিরি লাগিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন জায়গাটা। কোনো রকম সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে না। ১ চামচ মুলতানি মাটি, ২ চামচ ডিমের সাদা অংশ এবং এক চামচ ফিটকিরি গুঁড়ো দিয়ে একটি ফেস প্যাক বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। অ্যাকনের সমস্যা বাড়লে এটা মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। অ্যাকনের লালচে ভাব বা ফোলা ভাব, ব্যথা কমে যাবে।
৫. অত্যাধিক ঘাম হচ্ছে? ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে ডিওড্র্যান্টের মতো কাজ করে ফিটকিরি।