অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে। বিশেষ করে বয়স্করা এ সমস্যায় বেশি ভোগেন। অনেক গর্ভবতীদেরও এ সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যার কারণে অনেকে খাবার খেতে ভয় পান। কেউ কেউ নিয়মিত ওষুধও খান কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে। এ সমস্যা কমাতে প্রাকৃতিক কিছু পদ্ধতিও অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
লেবু : লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড হজমশক্তি বাড়ায়। লেবু শরীরে জমে থাকা বর্জ্র অপসারণ করতে ভূমিকা রাখে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন তারা প্রতিদিন এক কাপ হালকা গরম জলে একটা লেবুর রস চিপে খেতে পারেন। এতে হজম পদ্ধতি উন্নত হবে।
কফি : কফি শুধু মুড ঠিক করে না এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্যও বেশ উপকারী। এটি হজমশক্তি উন্নত করে। তবে দিনে ২ থেকে ৩ কাপের বেশি কফি খাওয়া ঠিক নয়। এতে শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়তে পারে।
ফ্ল্যাক্সসিড তেল : ফ্ল্যাকসিড তেল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকর। কমলালেবুর রসের সাথে ফ্ল্যাক্সসিড তেল মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।
দই : কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া রোধ করতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করা জরুরি। অন্ত্রে ভালো ও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা থাকলে হজমের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্ত্রের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার একটি ভালো উপায় হচ্ছে দই খাওয়া। সকালে খাবারের সময় ও বিকালে একটি বাটি দই খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রুটিন : কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খাদ্যাভাস ও জীবনযাপন পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। তিন বেলা খাবারের সময় নিয়ম মেনে চলা, পর্যাপ্ত জল পান ও সঠিক জীবযাপন পদ্ধতি মেনে চললে খুব সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।