মেদহীন শরীর আর দাগহীন ত্বকই কোরিয়ানদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাদের ত্বক যেমন মসৃণ তেমনই কোমল। কোরিয়ানদের ত্বকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পুরো বিশ্বই। হয়তো অনেকেই ভেবে থাকেন, তারা বোধ হয় এটা সেটা মেখে মুখ চকচকে করেন
বিষয়টি একদমই তেমন নয়! কারণ কোরিয়ানরা কেমিকেল মিশ্রিত প্রসাধনী কম, প্রাকৃতিক রূপচর্চা উপাদানসমূহ বেশি ব্যবহার করেন। কোরিয়ানদের ত্বকের চমক দেখে আপনিও নিশ্চয়ই শিহরিত হন! তবে জানেন কি, খুবই সহজ আর সাধারণ কিছু টিপস মানলেই কোরিয়ানদের মতো গ্লাস স্কিন পাওয়া সম্ভব।
বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইনে এমনকি প্রসাধনীর দোকানগুলোতেও গ্লাস স্কিনের ট্যাগ লাগিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছেন অনেকেই। তবে এসব কেমিকেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করে বরং চাইলেই ঘরোয়া উপায়ে গ্লাস স্কিন পেতে পারেন আপনিও!
গ্লাস স্কিন আসলে কী?
গ্লাস স্কিন বলতে বোঝানো হয়, যেমন কাচ একেবারে মসৃণ ও স্বচ্ছ হয়ে থাকে; ঠিক তেমনই গ্লাসের মতো মসৃণ, কোমল আর দাগহীন ত্বককে গ্লাস স্কিন হিসেবে সুন্দরীরা আখ্যা দিয়েছেন। গ্লাস স্কিন যাদের; তাদের ত্বক অনেক চকচকে আর মসৃণ হয়ে থাকে। কোরিয়ানদের মধ্যে এমন ত্বক দেখা যায়।
কীভাবে গ্লাস স্কিন পাবেন?
গ্লাস স্কিন পেতে হলে প্রথমে, অয়েল বেজড ও ফেনা বা ফোমজাতীয় ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে। পরপর দুইবার ত্বক ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন।
এবার এক্সফোলিয়েশনের পালা। এজন্য ভালো মানের এবং ত্বকের সঙ্গে স্যুট করবে, এমন স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে। সবারই কমবেশি ধারণা আছে, স্ক্রাব ব্যবহার করলে মুহূর্তেই কোমল ত্বক পাওয়া যায়।
পরবর্তী পদক্ষেপটি হলো ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে টোনার ব্যবহার করা। চাইলে ঘরেও টোনার তৈরি করে নিতে পারেন। যদি না পারেন, তাহলে ভালো মানের টোনার ব্যবহার করতে হবে।
এরপর একটি অয়েল বেজড ফেস সিরাম ব্যবহার করুন। কোরিয়ানদের বেশিরভাগ প্রসাধনীই অয়েল বেজড হয়ে থাকে। এ ছাড়াও তারা ত্বকে প্রাকৃতিক বিভিন্ন তেল যেমন- টি ট্রি অয়েল, জোজোবা অয়েল, অলিভ অয়েল ইত্যাদি বেশি ব্যবহার করে থাকেন। গ্লাস স্কিন পাওয়ার ক্ষেত্রে এসব তেল বেশি কার্যকরী।
এবার ওয়াটার বেজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। তারপরে, একটি ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এরপর আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন। মুহূর্তেই চকচকে ভাব চলে এসেছে! নিয়মিত এই টিপসগুলো মেনে চললে কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন কোরিয়ানদের মতো গ্লাস স্কিন।bs