পেটের মেদ বা ভুঁড়ি কমানোর উপায় অনেকেরই জানা। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করে পেটের মেদ ঝরিয়ে ভুঁড়ি রাখেন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু মুখে অতিরিক্ত মেদ জমার ফলে মুখ অস্বাভাবিক ভারী বা ফোলা দেখালে কি করবেন? এই অতিরিক্ত মেদ থুতনির নিচে জমে গলা পর্যন্ত ঝুলে গিয়ে মুখের গড়নও বদলে দিতে পারে। তখন দেখতে ভাল লাগবে না এবং বয়স বেশি বেশি মনে হবে।
মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তাই গালে, থুতনির নিচে জমা অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু পেটের মেদের মতো মুখের মেদ কমানো অতটা সহজ নয়! মুখের মেদ কমানোর ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের। এবার তা জেনে নিন…
ব্যায়াম ১: যতটা সম্ভব মুখ হাঁ করে খোলার চেষ্টা করুন। যতক্ষণ না গালে, ঠোঁটে এবং থুতনিতে টান বা চাপ অনুভব করছেন। এভাবে অন্তত মিনিট তিনেক রেখে তারপর ১৫-২০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিন। এই পদ্ধতিতে দিনে দু’বার ব্যায়াম করার ফলে মুখের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যাবে, যা মুখের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।
ব্যায়াম ২: চোখ বন্ধ করে চোখের উপর আঙুল রেখে চোখের পাতা নিচের দিকে নামাতে থাকুন আর ভ্রু ওপরে তোলার চেষ্টা করুন। এতে কপাল টান টান হবে। প্রতিদিন অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য এই পদ্ধতিতে ব্যায়াম করুন। এতে চোখের কোলে জমে থাকা মেদ কমে যাবে।
ব্যায়াম ৩: মাথাটা ধীরে ধীরে যতটা সম্ভব পেছনের দিকে হেলাতে থাকুন, যতক্ষণ না ঘাড়ে আর থুতনির নিচে চাপ অনুভব করছেন। এবার চোয়াল ডান দিক থেকে বাঁ দিক এবং বাঁ দিক থেকে ডান দিকে ধীরে ধীরে ঘোরানোর চেষ্টা করুন। দিনে পাঁচ মিনিট করে অন্তত ৫ বার এই ব্যায়াম করতে পারলে ঘাড় আর গলার পেশি টান টান হয়ে যাবে। একই সঙ্গে দ্রুত কমে যাবে ঘাড় আর গলার অতিরিক্ত মেদও।
ব্যায়াম ৪: মাথা পেছন দিকে যতটা সম্ভব হেলিয়ে দু’ হাত দিয়ে গালের ওপর সমান ভাবে চাপ সৃষ্টি করুন। একই সঙ্গে যতটা সম্ভব মুখ বন্ধ অবস্থাতেই হাসার চেষ্টা করুন। অন্তত ১০ মিনিট নিয়মিত এই ব্যায়াম করতে পারলে গাল থেকে অতিরিক্ত মেদ সহজেই কমে যাবে।
ব্যায়াম ৫: মুখের মধ্যে একটি বা দুটি আঙুল ঢুকিয়ে যতটা সম্ভব জোরে চুষুন। অথবা ওই ভঙ্গিতে মুখের ভেতরে হাওয়া টেনে গাল দুটোকে যতটা সম্ভব সংকুচিত করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০ বার যদি এই পদ্ধতিতে ব্যায়াম করতে পারেন তবে গালের ফোলাভাব দ্রুত কমে যাবে।
উপরোক্ত ব্যায়ামগুলো করলে মুখের অতিরিক্ত মেদ কমে গিয়ে মুখ হবে টান টান এবং বয়সের ছাপ দূর হয়ে আপনি হতে পারবেন আকর্ষণীয়।bs