ডায়াবেটিস আছে কি না, তা প্রথমে বোঝা যায় না। তবে ত্বকের কয়েকটি লক্ষণ আপনাকে তা বলে দিতে পারে।
ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বাঁধলে কিছু বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতেই হয়। নিয়ম না মানলে এই ডায়াবেটিসের হাত ধরেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়। তাই ওষুধ বা ইনসুলিন, নিয়মিত শরীরচর্চা ও নিয়মকানুন মেনে চলার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হয়।
সাধারণত, ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বাঁধলে প্রথম অবস্থাতেই টের পাওয়া যায় না। রক্ত পরীক্ষা করিয়ে তা বুঝে নিতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। যে কোনও ক্রনিক অসুখের ক্ষেত্রে যত আগে অসুখের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়, ততই ভাল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-এর মত অনুযায়ী, সাধারণত বয়স ৪০ পেরোলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তবে ইদানীং বয়স ৩০ পার করতে না করতেই অনেকে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের শিকার হচ্ছেন। ১০-১৪ বছর বয়সিরা মূলত টাইপ ১ ডায়াবিটিসের শিকার হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপসর্গগুলিকে চেনা অত্যন্ত জরুরি। না হলে আগাম সতর্কতা নেওয়া অসম্ভব। শরীরের বেশ কিছু লক্ষণের প্রতি সজাগ থাকলে এই অসুখ সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
বার বার প্রস্রাব পাওয়া, প্রবল তেষ্টায় গলা শুকিয়ে আসা, ওজন কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া, হাত-পায়ে ঝিঁঝি ধরা ও অবশ হয়ে যাওয়া টাইপ ২ ডায়াবিটিসের প্রধান কতগুলি লক্ষণ।
এগুলি ছাড়াও টাইপ ২ ডায়াবিটিসের আরও একটি লক্ষণ হল— ‘নেক্রোবায়োসিস লিপোয়েডিকা ডায়াবেটিকোরাম’। এটি হল ত্বকের একটি অবস্থা। ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো হয়। কিছু দিন পর এগুলি থেকে ত্বকে বিভিন্ন দাগও দেখা দেয়। এই লক্ষণটি পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এগুলির আকার গোলাকার, ডিম্বাকৃতি হতে পারে। চোখের পাতা, ঘাড় বা হাতে এই ধরনের উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। স্থূলতা থাকলে এই ধরনের উপসর্গ বেশি প্রকাশিত হয়। এমনকি, ত্বকে কোনও কারণ ছাড়াও ফোস্কা দেখা দিতে পারে। এটিও ডায়াবিটিসের লক্ষণ হতে পারে।