সকালের প্রথম খাবারটা যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সকালের খাবার সারাদিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার।
গবেষণা বলছে, যারা নিয়মিত এবং সঠিক সময়ে সকালের খাবার গ্রহণ করেন তাদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম। নিয়মিত সকালের খাবার গ্রহণ করলে তা ডিমেনশিয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দিতে পারে।
ডিমেনশিয়া বয়স্কদের একটি সাধারণ সমস্যা। এই অবস্থায় রোগীর জ্ঞানীয় কার্যকারিতা, চিন্তাভাবনা, মনে রাখা এবং যুক্তিবোধের ক্ষতি হয়। কিছু ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া এমন পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে পারে যে আক্রান্তের দৈনন্দিন জীবন এবং কাজকর্মও স্তব্ধ হয়ে পড়ে। ডিমেনশিয়া আক্রান্ত মানুষ অনেকক্ষেত্রে আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং তাদের ব্যক্তিত্বে বড় বদল দেখা যায়।
জাপানের জার্নাল অফ হিউম্যান সায়েন্সেস অফ হেলথ-সোশ্যাল সার্ভিসেস-এ প্রকাশিত ২০১১ সালের একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, আমাদের জীবনধারা এবং ডিমেনশিয়া রোগের সম্ভাবনার মধ্যে একটি মূল যোগসূত্র রয়েছে। ছয় বছর ধরে চলা এই গবেষণাটি জাপানের এক প্রধান শহুরে অঞ্চলের কাছে একটি কৃষক সম্প্রদায়ের ওপর করা হয়েছিল। গবেষকরা ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মোট ৫২৫ জন প্রাপ্তবয়স্ককে গবেষণা চলাকালীন পর্যবেক্ষণ করেন।
বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, সকালের খাবার না করা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ডিমেনশিয়া রোগ চার গুণ বেশি ছিল। যারা খুব সামান্য পরিমাণে সকালে খাবার খেয়েছেন তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়া ২.৭ গুণ বেশি, যে সমস্ত অংশগ্রহণকারীরা নুন খাওয়ার বিষয়ে সচেতন ছিলেন না তাদের মধ্যে ২.৫ গুণ বেশি এবং যারা পুষ্টির ভারসাম্যের তোয়াক্কা করেন না তাদের মধ্যে ২.৭ গুণ বেশি।
সুতরাং সঠিক সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে চাইলের খাবার খেতে ভুলবেন না।