খাদ্যরসিক এবং ভ্রমনপ্রিয় বাঙালির প্রিয় ঋতু শীতকাল হলেও, অনেকের পক্ষেই এই ঋতুটি যন্ত্রণাদায়ক। যাদের ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক তারা রীতিমত হীনমন্যতায় ভোগেন এই ঋতুতে। চামড়া ফেটে সাদা হয়ে যায় অনেকেরই। অনেকের আবার ময়লাও জমতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে তার মুশকিল আসান করে দেবো আমরাই। ঘরোয়া কিছু টিপস বলে দেবো আপনাকে যা, এই শীতে আপনার ত্বককে রক্ষা করবে ফেটে যাওয়া থেকে।
আসুন একবার দেখে নিই, বিশুদ্ধ চকোলেট গলিয়ে নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়। এছাড়া পাঁচ টেবিল চামচ কোকো পাউডার, পাঁচ টেবিল চামচ মধু, দুই চা চামচ ভূট্টা গুড়ো, দুই টেবিল চামচ ম্যাশড পটেটো একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে বিশ মিনিট পর গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব ভালো একটি প্যাক।
দুই টেবিল চামচ টকদই এর সাথে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ঘন্টা খানেক পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কতা কেটে গিয়ে তা নরম ও নমনীয় হবে। সেইসাথে শুষ্কতা কমে গিয়ে ত্বকের জেল্লা বাড়বে। অলিভ ওয়েল এমন একটি উপাদান যা একইসাথে ত্বকের সুস্থতায় নানা রকমের ভূমিকা পালন করে। ত্বকে এন্টি অক্সিডেন্ট জোগায়, পুষ্টি ও অক্সিজেনের যোগান দেয়।
অলিভ অয়েল শুষ্ক ত্বকে ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। শুষ্ক ত্বকের সুস্থতায় ডিম হতে পারে ভালো একটি উপাদান। ডিমের কুসুমের সাথে ক্যাস্টর অয়েল, কমলার রস, অলিভ অয়েল, মধু, লেবুর রস ও গোলাপজল মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগালে শুষ্ক ত্বকের রুক্ষভাব কেটে যাবে।
চুলে ব্যবহারের পাশাপাশি নারকেল তেল শুষ্ক ত্বকেও ভালো কাজ করে। শুষ্ক ত্বকের ব্রণ দূর করতে, ত্বক হাইড্রেট করতে, নানা ধরণের জীবানু ধ্বংস করতে নারকেল তেল বেশ উপকারী। নারকেল তেল, জল, মধু ও লেবুর রসের তৈরি প্যাক খুব উপযোগী শীতকালের জন্য। মধু ও কমলার রস মুখে লাগিয়ে রাখুন দশ মিনিট। কিছুক্ষন পরে ধুয়ে ফেলুন।
এই পেস্টটি ত্বকে বলিরেখা দূর করে, ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে করে তোলে কোমল। অ্যালোভেরা এমন একটি উপাদান যা সব ধরণের ত্বকে, সব ধরণের সমস্যাতেই কোন না কোন সমাধানের ব্যবস্থা করে। অ্যালোভেরা আর নারকেল তেল একসাথে মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযোগী ময়েশ্চারাইজার।